নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের পেকুয়ায় আবদুল মালেক (৩৫) প্রকাশ মালেক মাঝি হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই আবদুল খালেক বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে টইটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আলম প্রকাশ মাহমদ মাঝি (৫০)। অন্য আসামীরা হলেন টইটং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড়ের এমইউপি মো. মনজুর আলম (৫০), মীর আহমদ (৫৫), মো. বাহাদুর (৪৮) মীর আহমদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৫), মো. এরশাদ (২৩), মো. আরাফাত (২১), মো. তারেক (২৫), মো. সুজন (৩০), মো. এহেছান (৩৪), মো. হারুন (২৭), বদি আলম (৩৮) ও সিকান্দর (৩৫)।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, সোমবার টইটংয়ের ঘোনার আগা পাড়ায় আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরের দিন বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল খালেক বাদি হয়ে এজাহার দিলে বৃহস্পতিবার সকালে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে নিরপরাধ মানুষকে আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। মামলার ৯নং আসামী মো. সুজনের স্ত্রী কলি আকতার বলেন, আমার স্বামীর এ ঘটনায় ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই। এরপরেও হত্যা মামলার মতো স্পর্শকাতর মামলায় আসামী হয়েছেন। মূলত চার বছর আগে মালেক মাঝির পরিবারের সাথে আমার শ্বশুরের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে জামেলা হয়েছিলো। এর জেরেই আমার স্বামী মামলায় আসামী হয়েছেন।
ইউপি সদস্য মনজুর আলম বলেন,মালেক মাঝি প্রায় সময় জুয়াখেলত। মেম্বার হিসেবে তাকে অনেকবার নিষেধ করেছি। এরজেরে আমাকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলার ১৩ নং আসামী মো. সিকান্দর মালয়েশিয়া প্রবাসী বলে জানা যায়। এব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ শামশুল আলমের বরাত দিয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বলেন, সিকান্দর পাঁচ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। ছয় মাস আগে একবার দেশে এসে আবার ফিরে যান মালয়েশিয়ায়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
মামলার ৮নং আসামি তারেক। তার পিতা আবু তাহের বলেন,ঘটনা হয়েছে টইটংয়ের দুর্গম পাহাড়ে। আমার ছেলে ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। বাদি-বিবাদি কাউকে আমরা চিনিনা। এরপরেও মামলার আসামি হয়েছে ছেলে। পেকুয়া সদরের একটি ক্ষমতাধর ব্যক্তির ইন্ধনে আমার পরিবারে সদস্যদের বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। এর আগেও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় মামলা দিয়েছিল আরেক ছেলের বিরুদ্ধে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, বাদী যে এজাহার দিয়েছেন সে এজাহার প্রাথমিক তদন্ত করে মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে যদি কোন আসামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া না যায় তাহলে তাঁদেরকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হবে। আর পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে চেষ্টা করছে।
সূত্র:কক্স বাংলা