প্রত্যয় ডেস্ক, গাজী মো. তাহেরুল আলম, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য চর কুকরি-মুকরি। চোখে না দেখলে বিশ্বাস-ই হবে না, স্রষ্টার সৃষ্টি জগতের এ দৃশ্যপট কতোটা দৃষ্টি নন্দন।চর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণীরও এক নিবিড় অভয়ারণ্যও হিসেবেও বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহওম দ্বীপ ভোলা জেলার চরফ্যাশনে অবস্থিত। এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য। যার আয়তন প্রায় ৪০ হেক্টর। এটি চরফ্যাশনের একটি ইউনিয়ন। ভোলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরের উপকন্ঠে মেঘনাও তেতুলিয়া নদীর মোহনায় কয়েকশ বছর আগে জেগে ওঠা চর কুকরি-মুকরিতে এই বনভূমির অবস্থান। এ বনে রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি হরিণ। এ ছাড়া রয়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া, বুনো মহিষ, বানর, বনবিড়াল, উদবিড়াল, শেয়াল, বনমোরগসহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
গ্রাম থেকে যেমন মানুষ জীবন ও জীবিকার সন্ধানে মানুষ ছুটে যায় শহরে, ঠিক তেমনি শহর থেকেও প্রতিদিন মানুষ ছুটে আসে ভোলার চরফ্যাশনের চর কুকরি মুকরিতে। তবে শহরের একঘুঁয়েমী ইট-পাথর, যানযটের কোলাহলপূর্ণ জীবন ছেড়ে তারা দ্বীপের রানীর চর কুকরি মুকরিতে আসেন প্রকৃতির অপার লীলাভূমিতে নিজেকে হারাতে…. ছায়াসুনিবড়ি নিরেট ভালোবাসার সন্ধানে।