এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপীয় অভিবাসন ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে ফ্রান্সকে প্রতি বছর ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসীর চাপ সামলাতে হয়। বিশেষ করে স্পেন, ইটালি ও জার্মানি থেকে আসা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসীকে ফ্রান্স আশ্রয় দিচ্ছে।
২০১৫ সালে ইরাক ও সিরিয়া থেকে প্রায় দশ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে আসার পরে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘সব আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নয়’’। পরবর্তীতে দেখা যায়, জার্মানিতে আসা অনেক শরণার্থী ফ্রান্সে চলে এসেছেন।
“এই অভিবাসন ব্যবস্থাকে আমি কখনোই মেনে নিতে পারি না। তবে এটি এমন একটি বিষয় যার বাস্তবতা আমি কখনো অস্বীকার করিনি,’’ বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ডানপন্থী ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা
বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ডানপন্থী ও কট্টর ডানপন্থী ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা হিসেবে অভিবাসন নীতির কথা বলছেন। ইউরোপপন্থী রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এগুলেও আশ্রয় ব্যবস্থার একটি যুগোপযোগী পরিবর্তনের ব্যাপারে বেশ জোরেসোরে কথা বলছেন মাক্রোঁ।
২০২২ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলীয় নেত্রী মারি ল্য পেনের সাথে মৌলিক পার্থক্য বজায় রেখে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁতার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করছেন। যেমন, ল্য পেন বারবার বলে আসছেন পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়া কয়েক মাসের জন্য বন্ধ রেখে পরিকল্পনা নিতে। অপরদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট আশ্রয় ব্যবস্থার পরিবর্তন ও সমন্বয়ের উপর জোর দিচ্ছেন।
পাশাপাশি মধ্য বামপন্থী ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখে আফ্রিকার উন্নয়নের কথাও বলে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। কারণ ইউরোপে অভিবাসী আগমনের সাথে আফ্রিকা মহাদেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তার মতে, “কোভিড ১৯ মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আফ্রিকাকে আমাদের ব্যাপক অর্থনৈতিক সাহায্য করা উচিত। যাতে তারা সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়। আমাদের আরো অনেক বেশি দায়বদ্ধ হওয়া উচিত না হলে অভিবাসন নীতিমালা বাস্তবায়নে আমাদের আরো মূল্য দিতে হবে।’’
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস