প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-২ (মিরপুর) ও অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর সকল ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান (চিরুনি অভিযান) শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুরে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে চিরুনি অভিযান উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পরে মেয়র বছিলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সুপার শপ, আবাসিক ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করেন। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, সড়কে মালামাল রাখা, অবৈধভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার ইত্যাদি অপরাধে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ অভিযানে আমরা ‘ডোর টু ডোর’ যাব। এখানে বাসাবাড়ি থাকবে, অফিস-আদালত থাকবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে। অভিযানের মাধ্যমে আমরা রাজস্বের পরিধি বাড়াব, ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়াব না। সবাই যাতে বাসায় বসে ট্যাক্স দিতে পারে, যেমনটা আমার নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’তে ছিল, আমরা অটোমেশনে যাব। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে ট্যাক্স নেয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ৪০০ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স এবং ১০০ কোটি টাকা ট্রেড লাইসেন্স থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে।
আবাসিক এলাকায় স্থাপিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমাদের অনেক আবাসিক এলাকা আছে যেখানে নিচতলায় দোকান করা হয়েছে। এ জন্য আগামী সপ্তাহে রাজউককে আমার অফিসে আসতে বলবো। কীভাবে আবাসিক ভবনে ব্যবসা চালানো হচ্ছে? যেহেতু এটা আবাসিক এলাকা আমরা ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারি না। আবাসিক এলাকায় সিটি করপোরেশনের ক্ষমতা নেই ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার, কিন্তু এখানে ব্যবসা করছে। এটার একটি বিহিত করা দরকার।
চিরুনি অভিযান উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।