প্রত্যয় বিনোদন ডেস্ক: গতরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউডের ৭১ বছর বয়সী প্রবীণ কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। তিনবার জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী সরোজ খানের মৃত্যুর কথা শুনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একসময় হিন্দি সিনেমার যেকোনও ভালো নাচের কোরিওগ্রাফি দেখলেই মানুষ বুঝে নিত এর পিছনে আছেন সরোজ খান। ২ হাজারেরও বেশি গানের কোরিওগ্রাফি করেছিলেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ তার টুইট বার্তায় জানান, অসামান্য কোরিওগ্রাফির ফলে বহু নাচ শ্রোতাদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছলেন সরোজ। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী এবং অনুরাগীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অভিনেতা নিমরত কৌর টুইট করেন, সরোজ জি-এই নামটির দৌলতে আমি জীবনে ‘কোরিওগ্রাফার’ ঠিক কেমন হয় তা বুঝতে পেরেছিলাম। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আশির দশকে ঝড় তোলা ‘ধকধক করনে লাগা’-র কারিগর প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খানকে গত ২০ জুন শ্বাসের সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না শ্রীদেবী, মাধুরীদের দোলা লাগানো নাচের নেপথ্যের কারিগরের।
সরোজ খানকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কোভিড- ১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। সরোজা খানের ভাগ্নে মণীষ জগওয়ানি গণমাধ্যমেকে জানান যে, গত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি, এরপরেই তার শারীরিক অবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হয় এবং মারা যান।
২০০৭ সালে করিনা-শাহিদ কাপুরের অভিনীত ছবি ‘জব উই মেট’ ছবিতে ‘ইয়ে ইশক হ্যায়’ এর নাচ, ‘তেজাব’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের ‘এক-দো-তিন’, সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘দেবদাস’ ছবিতে ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন ও মাধুরী দীক্ষিতের ‘ডোলা রে’ নাচ এখনও মানুষের মনে দাগ কেটে আছে।
তার শেষ কাজ ছিল ২০১৯ সালে করণ জোহর প্রযোজিত ‘কলঙ্ক’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের “তাবা হোগায়ে” গানটি।