স্পোর্টস ডেস্ক: বছরের শুরুতে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি ফখর জামানের। ওই সময়ে আট ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচেই তিন অঙ্কের যাদুকরী রানের দেখা পেয়েছিলেন এই পাকিস্তানী ওপেনার। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরির পর রানের সঙ্গে যেনো আড়ি পড়েছে ফখর জামানের। সর্বশেষ সেঞ্চুরির পর ১১ ইনিংসে ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমেছেন ফখর কিন্তু রান পাচ্ছেন না। এ সময়ে সর্বোচ্চ রান তার ৩৩। সব মিলিয়ে ১১ ইনিংসে ২০২।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফখর জামানের রান ১২। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে বাইরে রেখে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাত্র চার ম্যাচ খেলা আবদুল্লাহ শফিককে। চার ম্যাচে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৫২ রানের। আর প্রথম তিন ইনিংসে রান যথাক্রমে ২, ৭ ও ১৯। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই সবাইকে চমকে দিয়েছেন এই ওপেনার। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস তো খেলেছেনই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মূল্যবান জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রেকর্ড বইয়েও স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বকাপে অভিষেকে প্রথম পাকিস্তানী সেঞ্চুরিয়ান তিনি। তার এই সাফল্যে এখন ফখর জামানের ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
তবে শুধু ফখর জামান নন, পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটারদের অবস্থা আসলে নাজুক। টপ অর্ডার ব্যাটার বাবর আজম বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে করেছেন যথাক্রে ৫ ও ১০। সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ২৯।
আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার ইমাম উল হক ব্যর্থতায় খুব একটা পিছিয়ে নেই। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ১৫ ও ১২। সর্বশেষ ছয় ম্যাচে তার সর্বোচ্চ রান ৭৮। তবে এ সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তার মাত্র ১৫।
পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটারদের অবস্থা সত্যিই সমর্থকদের দুঃশ্চিন্তা বাড়াতে যথেষ্ঠ। গত পাঁচ ম্যাচে ওপেনিংয়ে তাদের সর্বোচ্চ জুটি ৩৫ রানের। এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্রাডবার্ন মোটেও উদ্বিগ্ন নন। বরং টপ অর্ডার ব্যাটারদের প্রতি আস্থা রাখছেন। বলেছেন, আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটারদের প্রতি আস্থা রয়েছে। তারা অবশ্যই রান পাবে। এটা ঠিক যে পাওয়ার প্লেতে আমরা প্রত্যাশা মতো রান পাচ্ছি না। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে আমাদের শীর্ষ তিন ব্যাটার দলের সিংহভাগ রান করেছে।’