প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের কাছ থেকে ৩০ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে একমত হয়েছে। ফাইজারের ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত শতকরা ৯০ ভাগ কার্যকর বলে খবর প্রকাশের পর এই ঘোষণা দিল ইইউ।
সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনের প্রধান স্টালা ক্রাকিডিস বলেছেন, ফাইজারের সঙ্গে এর মধ্যেই ইইউ সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং তাদেরকে ভ্যাকসিনের অর্থ অগ্রিম পরিশোধ করা হবে। তবে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন কত টাকায় কেনা হচ্ছে সে তথ্য তিনি প্রকাশ করেননি।
সম্প্রতি মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইলি লিলি অ্যান্ড কো.-এর একটি অ্যান্টিবডি থেরাপিতে ফাইজারের ভ্যাকসিনে অসাধারণ ফলাফল পাওয়া গেছে। এটি জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনের ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দাবি করেছে ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক। ছয় দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিকভাবে এমন ফল পাওয়া গেছে।
ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পর পাওয়া প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিনটি নিলে ৯০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হবে না। সুরক্ষায় শতভাগ উতরে গেছে ভ্যাকসিনটি। এ নিয়ে শঙ্কার তেমন কিছু পাওয়া যায়নি পরীক্ষায়।
এর মধ্যেই ১৩ দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের। সংস্থা দু’টি জানিয়েছে, তারা ভ্যাকসিনের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডোজ তৈরি করতে পারবে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ৬৫০ মিলিয়ন মানুষের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। অপরদিকে ২০২০ সালের শেষের দিকেই ৫০ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের বেশ কিছু দেশের তৈরি ভ্যাকসিনই এখন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার শেষ পর্যায় অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফাইজারের মতো কোনো ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার দাবি করতে পারেনি।
ফাইজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করতে পারবে। ফাইজার ও বায়োএনটেক চলতি নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সংস্থা- এফডিআই’র কাছে এই ভ্যাকসিন বিক্রির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে।