ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা দোকানপাট উচ্ছেদ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করছেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি, আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ৫৩৪টি দোকান বৈধ। ১৯৯৭ সালে এই দোকানগুলো বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। এসব দোকানের ভাড়া তারা নিয়মিত নগরভবনে জমা দিচ্ছেন এবং প্রতিটি দোকানের বিপরীতে ট্রেড লাইসেন্সও রয়েছ। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই দোকানগুলো ভাঙা শুরু করেছে ডিএসসিসি।
বিজ্ঞাপন
তবে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের দাবি, আন্ডারগ্রাউন্ড বা পার্কিংয়ের এসব দোকানপাট নকশাবহির্ভূত। তাই ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশে দোকানগুলো ভেঙে দেয়া হচ্ছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এর প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ এর জাকের প্লাজা, নগর প্লাজা ও সিটি প্লাজার দোকানিরা। কিন্তু অভিযান অব্যাহত রাখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদ।
জাকের প্লাজা ব্যাবসায়িক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ১৯৯৭ সালের এই তিনটি প্লাজায় ৬৩৪টি দোকান অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। ওই বরাদ্দপত্রে শর্ত ছিল ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে পার্কিং উচ্ছেদ করতে হবে এবং ৩০ দিন আগে ব্যবসায়ীদের নোটিশ দিয়ে তা জানাতে হবে। কিন্তু সোমবার হুট করে পার্কিংয়ে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিষয়টি নিয়ে করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ সময় দিচ্ছে না।
নগর প্লাজার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তারা ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত এই দোকানগুলোর ভাড়া সিটি করপোরেশনে জমা দিয়েছেন। কিন্তু ভাড়া নেয়ার সময় উচ্ছেদের বিষয়ে তারা কিছুই জানায়নি। এভাবে গণহারে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করলে সবাইকে পথে বসতে হবে। অবিলম্বে ডিএসসিসির এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদ বলেন, ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ব্যবসায়ীদের কোন দাবি বা কথা থাকলে মেয়রের কাছে বলতে হবে।
মেয়রের নির্দেশনা ছাড়া এই অভিযান বন্ধ করবেন না বলেও জানান তিনি।
গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ এ নকশাবহির্ভূত দোকান অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
সংস্থাটির তথ্যমতে, এই মার্কেটের ৯১১টি নকশাবহির্ভূত দোকান হয়েছে। এরইমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ দোকান গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।