বিশেষ প্রতিনিধিঃ ফেনী শহরের পাঠানবাড়ী এলাকায় শফিকুর রহমান সড়কের তাসফিয়া ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে শনিবার রাতে ইউনুস বাবু নামে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি রাত ১২:৩০ মিনিটের সময় উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপতালের মর্গে করেন। ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং জানান শনিবার রাত ১০ টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানবাড়ী সড়কের শফিকুর রহমান সড়কের তাসফিয়া ভবনের তল্লাশি চালায় এবং সেফটি ট্যাংকে লাশ দেখতে পায়। খবরটি জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে লাশটি সেফটি ট্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
ইউনুস বাবু সোনাগাজীর তাকিয়া বাজারের পাইকপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শহরের শাহীন একাডেমী সড়কের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি
সূএে জানা যায়, গত ৮ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে বাবু ও তার বন্ধু শাহরিয়ার একসাথে বাসা থেকে বের হয়। এর পর তারা আর বাসায় ফিরেননি। তারা দুই জনই একসাথে তাসফিয়া ভবনে এসেছিলেন। ওই দিন রাত ৩ টার সময় ভবনের এক বাসিন্দা ভবনের নিচ তলা থেকে অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্যদের জানান তারা সবাই নিচে গিয়ে দেখেন যে কেয়ারটেকার শাহিন মেঝেতে পড়ে থাকা রক্ত পরিষ্কার করছে এবং ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে আহত বেক্তির আওয়াজ আসছে তারা ট্যাংকের মুখ খুললে দেখা যায় আহত এক যুবক যে ছিল বাবুর সাথে থাকা তার বন্ধু শাহরিয়ার। তারা পুলিশকে খবর দেয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ শাহরিয়ারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। এবং কেয়ারটেকার শাহিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ভবনের বাসিন্দাদের সূএে জানা যায়, বাবু ও শাহরিয়ার প্রায়ই ওই ভবনের কেয়ারটেকার শাহীনের কাছে আসত বৃহস্পতিবার রাতেও এসেছিলো। শাহিনের সাথে তাদের কি সম্পর্ক তা তারা জানেননা।দুই দিন কোনো খোজ না পাওয়ায় এবং বাবুর বন্ধু শাহরিয়ারকে সেফটি ট্যাংকে আহত অবস্থায় পাওয়ায় তার পরিবারের ধারনা করেন যে বাবুও একই জায়গায় রয়েছে। শনিবার বাবুর মা ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশকে ওই ভবনের সেফটি ট্যাংকটি তল্লাশি করার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশ রাত ১০ টার দিকে ভবনে তল্লাশি চালায় এবং সেফটি ট্যাংক তল্লাশিকালে বাবু লাশটি খুজে পাওয়া যায়। সেফটি ট্যাংকে থাকায় লাশটি পচন ধরে যায়। তার গায়ের জামা দেখে তাকে শনাক্ত করে তার ভাই ইফরান বাপ্পী।