বগুড়ার সংবাদদাতাঃ রঞ্জু মিয়া, পেশায় একজন ভ্যান চালক। নিজের একটা ভাঙাচোরা ইঞ্জিন চালিত ভ্যান আছে, সেটা তার ভার বহন করতে পারলেও সংসারের ভার ঠিকমতো বহন করতে পারছিল না। করোনা কালের লক ডাউন অনেকের মতো তার পেটেও লাথি মারল। মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার সরকারি জমিতে মাটির ঘর তৈরি করে থাকছিল বাপের আমল থেকেই কিন্তু যে ভ্যান তার সংসারের ভার ঠিকমতো বহন করতে পারে না সেই ভ্যান দিয়ে নতুন ঘর তৈরি করার স্বপ্নও সে দেখতো না। একে ত লক ডাউনের ফলে কর্মহীনতা তারপর এক দুর্যোগের রাতে তার মাটির ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো। স্ত্রী এবং দুই বাচ্চা নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হলো রঞ্জুকে।
গল্পের দ্বিতীয় অংশ শুরু হলো এরপর। বগুড়ায় একজন পুলিশ সুপার আছেন। ক্রাইম কন্ট্রোলে অসাধারণ কৃতিত্ব তাঁর, পাশাপাশি সকল মানবিক সামাজিক এবং ব্যতিক্রমী কাজে অগ্রগণ্য।
একটা ফেসবুক পোস্টে রঞ্জুর দুরাবস্থার কথা জানতে পারেন তিনি। জেনেই খোঁজ খবর নেন এবং তাঁর পারসোনাল টিমকে রঞ্জুর ঘর নির্মাণের দায়িত্ব দিলেন, নিজে থাকলেন নিবিড় তত্ত্বাবধানে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠল রঞ্জুর স্বপ্নের ঘর। আধাপাকা ঘরটিতে সে এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, অন্তত মাথার উপর ভেঙে পড়ার আশংকা নাই।
জি এতক্ষন যে মানবিক পুলিশ কর্মকর্তার কাজের একটা অংশের কথা শুনলেন তিনি হচ্ছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার। তিনি একাধারে একজন ভিশনারী লিডার এর পাশাপাশি তিনি একজন মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ।
রঞ্জু ও তার পরিবারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অসংখ্য মানুষ পুলিশ সুপারের এমন কাজের ভূয়শী প্রশংসা করে তাদের জন্য দোয়া করেছেন।