বগুড়ার সংবাদদাতাঃ গত এক সপ্তাহে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক ফুট। এভাবে চলতে থাকলে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পার। আগামী এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও আশেপাশের কয়েকটি জেলায় বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ব্রহ্মপুত্রের পানি কুড়িগ্রাম দিয়ে, তিস্তার পানি লালমনিরহাট দিয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যা শুরু হতে পারে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, বগুড়ার যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলে টানা বৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে বগুড়ায় বন্যা হবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা যায় যে, যমুনার পানি প্রায় নদীপাড়ের লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। স্থানীয় লোকজন ইতোমধ্যেই পূর্ব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধান ও পাটক্ষেতে ঢুকতে শুরু করেছে।
শুক্রবার সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া, চন্দনবাইস্যা, কালিতলা ঘাটে গিয়ে দেখা যায় যে গত সপ্তাহে যেসকল স্থান শুকনো ছিলো এখন সেসকল এলাকা ৫/৬ ফিট পানির নিচে। লক্ষ্য করা গেছে যে এসব স্থানে পূর্বে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাপক স্কেল বসানো থাকলেও এবার তা দেখা যায়নি। কালিতলা ঘাট সংলগ্ন দোকানী ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে যানা যায় যে, প্রতিবার এরকম সময়ে এসব স্থানে পরিমাপক স্কেল বসানো থাকলেও এবার এবার এখন পর্যন্ত তা তাদের চোখে পরেনি। তারা আরও অভিযোগ করেন যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেমন কোনও তৎপরতা তাদের চোখে পরেনি।
এসব নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এখন বন্যার সময়ে পানি বেড়েই থাকে। তিনি আরও জানান যে, এভাবে চলতে থাকলে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট থানার বহু এলাকা বন্যা প্লাবিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।