রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধানঃ সম্প্রতি রেজাউল করিম বাদশা কে সভাপতি ও আলী আজগর তালুকদার হেনাকে সাধারণ সম্পাদক করে বগুড়া জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এক নম্বর নির্বাহী সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দুই নম্বর নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে উক্ত কমিটিতে।
উক্ত কমিটিতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, সংসদ সদস্য, জনপ্রিয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গন সহ অনেক জনপ্রিয়, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করায় সাধারণ কর্মীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবন্দি হন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল। মাজেদুর রহমানের জুয়েলের একজন সমর্থক জানান জুয়েল ১৭ সাল থেকে টানা চার বছর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ছিলেন, বিএনপি করার অপরাধে তার মাথায় কয়েক ডজন মামলা ঝুলছে এবং তিনি দুবার জেল খেটেছেন।
মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি’র বগুড়া পার্টি অফিসের বেষ্টনী কেন্দ্রিক আন্দোলনকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হবার পরে মাজেদুর রহমান জুয়েল রাজপথ কেন্দ্রিক আন্দোলনে পরিণত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজেদুর রহমান জুয়েল জানান, আমাদের নেতা তারেক রহমান যা করেছেন আমি তাতেই খুশি। তিনি যে কমিটি’র অনুমোদন দিয়েছেন তা অবশ্যই দলের ভালোর জন্যই করেছেন।
শহর কেন্দ্রিক নেতাকর্মী ছাড়াও বগুড়া ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক, নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, ধুনটের সাবেক মেয়র, দুপচাঁচিয়ার সাবেক সভাপতি, কাহালুর মেয়র, বগুড়া পৌরসভা বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় কয়েকজন কাউন্সিলর সহ অনেক জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতা নতুন এই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা সাংবাদিকদের জানান, বগুড়ার রাজনীতিতে একমাত্র অপরিহার্য জিয়া পরিবার। প্রয়োজনীয় সকলকে নিয়েই স্বচ্ছ কমিটি করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে গত বছরের নভেম্বরে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে রেজাউল করিম বাদশা সভাপতি ও আলী আজগর তালুকদার হেনা সাধারণ সম্পাদক সহ তিন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সাধারণ কর্মীরা বলছেন অবিলম্বে তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে এ পকেট কমিটির সংশোধন করে ত্যাগী নির্যাতিত বঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না করলে আগামীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে মাঠে নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।