বগুড়ার সংবাদদাতাঃ ডক্টরস ক্লিনিকের প্যাথলজির চিকিৎসক ডা. রওনক জাহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন গত ১৬ আগস্ট । কিন্তু প্রতিদিনই প্যাথলজির রিপোর্টে তার স্বাক্ষর হচ্ছিল ক্রমাগত। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই ক্লিনিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উক্ত অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মারুফ আফজাল রাজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোমানা রিয়াজ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ফারজানুল ইসলাম নির্ঝরসহ আরও অনেকে ।
উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানান, ডা. রওনক জাহান ডক্টরস ক্লিনিক(ইউনিট-২) এ প্যাথলজিস্ট হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় সাধারণত তিনি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ডা. রওনক জাহান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গত ১৬ আগস্ট। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযোগ আসে যে, আক্রান্ত হওয়ার পরও তার নামে ওই ক্লিনিক থেকে প্যাথলিজর রিপোর্টে তার স্বাক্ষর করা হচ্ছিল। বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান ভ্রাম্যমাণ আদালতের দলটি।
বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ডা. রওনক জাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর প্যাথলজির রিপোর্টে স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। নির্বাহী হাকিম মারুফ আফজাল বলেন, প্যাথলজির রিপোর্টে ডা. রওনক জাহানের স্বাক্ষর জাল করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আদালতের কাছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অপরাধের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
তিরি আরও জানান যে, এই অপরাধ করায় দায়ে ডক্টরস ক্লিনিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায় এক বছরের সশ্রম কারাদাণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে জালিয়াতির কথা স্বীকার করলেও ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সোহেল জামান দাবি করেন, তারা স্বাক্ষর জাল করেনি। এই বিষয়টি ডা. রওনকই ভালো বলতে পারবেন।