ওয়েব ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমা থেকে দুটি বিদেশি পতাকাবাহী ফিশিং ট্রলারসহ ৩১ বিদেশিকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস আখতার উদ্দিন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বদা দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমায় যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নৌবাহিনী জাহাজ বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করছে।
এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শহীদ আখতার উদ্দিন ১৫ অক্টোবর বিকেলে নিয়মিত টহল চলাকালীন বঙ্গোপসাগরের গভীরে বিদেশি পতাকাবাহী দুটি ফিশিং ট্রলার আটক করে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস আখতার উদ্দিন অপারেশন নির্মূলের আওতায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে বঙ্গোপসাগরের নিয়োজিত রয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজটির রাডারে সন্দেহজনক ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ট্রলার দুটির তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
এ সময় ট্রলার দুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ আখতার উদ্দিন ধাওয়া করে ফিশিং ট্রলার দুটিকে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরেই আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক ট্রলার দুটিতে মোট ৩১ জন সদস্য ছিল। তাদের সবাই বিদেশি নাগরিক।
পরবর্তীতে আটক ফিশিং ট্রলার দুটি পটুয়াখালীতে নিয়ে আসা হয় এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করে নৌবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ এবং আমাদের জলসীমার সুরক্ষায় নৌবাহিনীর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জলসীমায় যেকোনো ধরনের বিদেশি অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে শহীদ আখতার উদ্দিনসহ নৌবাহিনীর ১৩টি জাহাজ সমুদ্রে, ১০টি জাহাজ নদী এলাকায় ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটগুলো অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।