রাঙামাটি প্রতিনিধি: আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি
রাঙামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি পিএমআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টার হতে প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পুরস্কার অর্জন করেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাঙামাটি পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কটি বাস্তবায়ন করে।
প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট ইনস্টিটিউট বা পিএমআই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। যা প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট রিলেটেড প্রকাশনা প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেসন প্রদান করে। প্রজেক্ট ম্যানেজারগণকে সম্মানিত করার কোন প্ল্যাটফর্ম ছিল না। তারা সব সময় পর্দার পিছনে থেকে যান। এ পুরস্কারের মাধ্যমে প্রকল্প ম্যানেজারদেরকে সম্মানিত করা হয়।
সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া সরকারী বেসরকারী ৪৪টি প্রকল্পের মধ্যে মেডিয়াম ক্যাটাগরি প্রকল্পের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন করে প্রকল্পটি।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানের ক্রাউন প্লাজায় পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পিএমআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট অন্বেষা আহমেদ এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার গ্রহণ করে এলজিইডির সেন্ট্রাল অফিসের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন। এ সময় এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুর হোসেন হাওলাদার রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি পি এমপি, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রনব রায় চোধুরী।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের প্রজেক্ট ম্যানেজারগণ ও স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত প্রফেশনাল গণ উপস্থিত ছিলেন
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি বিষয়ে রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি বলেন,আন্তর্জাতিক এ পুরস্কার রাঙামাটির মত দুর্গম ও দূরবর্তী একটি প্রকল্প এই ধরণের প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কার গ্রহণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমার টিম মেম্বার সকলের সহযোগিতায় এই কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এই প্রকল্প পুরস্কার গ্রহণ করায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে এবং সকলেই রাঙামাটি ভ্রমণি উৎসাহী হবেন এতে করে স্থানীয় জনগণের জীবন মানে উন্নয়ন হবে
কাপ্তাই আসামবস্তি সড়কটি এ এলাকার মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। পর্যটন সম্প্রসারণে ভূমি রাখছে। মোট কথা এ সড়কটিরএ এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পল্লী অঞ্চলরে সড়ক যোগাযোগ এবং হাট বাজার ও গ্রোথ সন্টোর উন্নয়নরে মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনৈতিক গতিশীল করতে এলজিইডি নির্মাণ করে এ সড়কটি। সড়কটি শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় নি। এ এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এ সড়কটি রাঙামাটির পর্যটন সম্প্রসারণে রাখছে বড় ভূমিকা। এ সড়ককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
২০১৭ সালে অতি বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের পর সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়। এলজইিডি ও বুয়টের কারগিরি টিম নতুনভাবে ডিজাইন করে ২০২০ সালে সড়কটি মরোমত ও প্রশস্থ করার কাজ আরম্ভ করা হয়।
৩ কোটি টাকা সাশ্রয় করে ৩৯ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয় নতুন সড়ক ও ৩টি ব্রীজ। করোনায় কাজ বন্ধ হলে নানান প্রতিকুলতার মধ্যে ২০২৩ সালে জুন মাসে কাজ শেষ হয়।