1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বাংলায় দৈনিক করোনা পরীক্ষা বাড়বে আরও ১০ হাজার, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০
  • ১৮৩ Time View

কলকাতা সংবাদদাতা:বাংলায় কোভিড–১৯ ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষার হার আশাব্যঞ্জক নয়। গত শুক্রবার স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবাও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, তা বোঝা জরুরি। তাই বাংলায় এই ভাইরাস সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। এবার সেই অভিযোগের অবসান ঘটতে চলেছে। সোমবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিল্লি থেকে কলকাতার নাইসেডে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কোভিড–১৯ নমুনা পরীক্ষার যন্ত্র ‘কোভাস ৮৮০০’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ফলে রাজ্যে একদিনে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও ১০ হাজার বেড়ে যাবে। বাংলা ছাড়া উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রেও তিনি এমন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রেরও উদ্বোধন করেন।

পাশাপাশি এদিন গোটা ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভার্চুয়াল সভায় মিলিত হন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। ওই সভায় যোগ দেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমফান তাণ্ডবের পর ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা সামলে ওঠার জন্য কেন্দ্রের কাছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু পেয়েছি ১ হাজার কোটি টাকা। অথচ ওই ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করতে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।’ এর পরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ইঙ্গিতবহ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এখন করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে দেশ। এর মধ্যে সামনেই রয়েছে উৎসবের মরশুম। এই মরশুমে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার চাল যেন প্রতিটি গরিব পরিবারের কাছে পৌঁছে যায়, সে ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্য সরকারকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের প্রধান শাসক দল বাধা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাংলায় চালু করা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য সরকারের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কার্যত শাসক দলের কাজকে সমর্থন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তেমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে কথাই ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সাধ্যমতো সাহায্য করছে। কিন্তু কোনও কোনও ব্যক্তি তা করছেন না। এর পরই রাজ্যপালের নাম না করে তিনি বলেন, ‘আপনার কথা বলব না। কারণ, আপনি নন, তবে কেউ কেউ আছেন, যাঁরা রাজ্যের সমস্ত কাজে অসহযোগিতা করে চলেছেন। এটা আমরা আশা করি না। এতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে। সরকারেরও কাজ করার ক্ষেত্রে অসুবিধে হচ্ছে। এই সভায় আমরা যাঁরা আছি, সকলেই নির্বাচিত। তাই আসুন, আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করি।’

এই সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়ই ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংক্রমণের এই পর্যায়ে রাজ্যকে উন্নতমানের যন্ত্র উপহার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদও জানান মমতা। সেই সঙ্গে এই দাবিও তিনি করেন, ‘রাজ্যে করোনা সংক্রমিতদের আমরা পুরো বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছি। এই দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এ কথা প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে জানাতে পারেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে করোনা সংক্রমিতদের জন্য রাজ্যের ‘সেফ হাউস’ তৈরির পরিকল্পনার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..