বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:করোনা ইস্যুতে ফের বাংলার তৃণমূল সরকারকে তোপ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর। এবার আক্রমণকারীর ভূমিকায় রবিশঙ্কর প্রসাদ। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার জন্য বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সভা থেকে তিনি পুরোপুরি দায়ী করলেন রাজ্য সরকারকে। জানালেন, করোনা নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ ঠিকমতো পালন করা হলে এ ভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলত না। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক এবং চিন ইস্যুতেও তিনি রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর বলেন, ‘বাংলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে। করোনা রুখতে রাজ্যের উচিত ছিল কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করা। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই তা করেনি। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে চললে এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ রাজ্যকে পড়তে হত না।’ রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগ করেন, ‘প্রথম থেকেই লকডাউন পালন করা নিয়ে রাজ্য সরকারের মধ্যে উদাসীনতা তীব্র ছিল। পরে সংক্রমণ যখন খারাপ ভাবে ছড়াতে শুরু করল, তখন লকডাউন মানা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে। তাতে লাভ কিছু হয়নি।’
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও রাজ্যের ভূমিকা ঠিক ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা ‘করোনা এক্সপ্রেস’ বলার প্রসঙ্গও এদিন তিনি টেনে আনেন। বলেন, ‘যে মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন দৃষ্টিতে দেখেন, সেই পরিযায়ীদের বিষয়ে তাঁর আচরণ অবশ্য এমনই হওয়া উচিত।’ যদি ‘করোনা এক্সপ্রেস’ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পরে জানিয়েছিলেন, তিনি সে কথা বলেননি। বলেছিলেন, লোকে ওই কথা বলছে। যদিও বিজেপি নেতারা তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বারবার বলেছেন, সমালোচনার চাপে মুখ্যমন্ত্রী এখন কথা ঘোরাচ্ছেন।
এদিকে, রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৬৪৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ২১৮ জনই কলকাতার। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮১৯ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৬৯৯ জন। তবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫০৯ জন। শতাংশের হিসেবে রাজ্যে সুস্থ হওয়ার হার ৬৫.৭৪ জন।