1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বাড়ছে মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি

  • Update Time : রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০
  • ১৫৯ Time View
পদ্মার পানি বাড়ছে, ভয়ংকর চেহারায় ফিরছে ভাঙন

রাজবাড়ী সংবাদদাতা: নদ-নদীর পানি কোথাও বাড়ছে, আবার কোথাও কমছে। একই সঙ্গে ভাঙনও ভয়ংকর চেহারায় ফিরছে। মুন্সীগঞ্জ ও রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বাড়ছেই। কুড়িগ্রামে ধরলা এবং নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার পানি ফের বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বগুড়ার বাঙ্গালী নদীর পানিও বেড়েছে।

তবে কমছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানির গতি। বন্যায় এখনো ডুবে আছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে আছে লাখো মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকায় চলছে খাবার সংকট। বগুড়ায় যমুনা, কিশোরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র এবং রংপুরের পীরগাছায় চলছে তিস্তার ভাঙন। এর ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে নদীপারের মানুষ। ভয় আর আতঙ্কে ভাঙন এলাকা থেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অনেকেই।

এদিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গতকাল এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বন্যা ও বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ সব স্থানে নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। এরই মধ্যে সারা দেশের মানুষকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলমান করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে পুরোদমে এগিয়ে চলছে বেড়িবাঁধের কাজ। তিনি আশা করেন, এবারের বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে কোনো নদীভাঙন হবে না। আর বন্যা পরিস্থিতি মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রামে ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। তিন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে পদ্মার পানি এখনো বিপত্সীমার ওপর দিয়ে বইছে। ভাগ্যকূলে পদ্মার পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের জনপদগুলো প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বহু এলাকা এখন জলমগ্ন। দ্রুত পানি আসার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টঙ্গিবাড়ীর দিঘিরপারে কান্দারবাড়ী-শরিষাবন বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০০ একর জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে। লৌহজংয়ের মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া যশলদিয়া, কুমারভোগ, কনকসার, হলদিয়া, লৌহজং-টেউটিয়া ও গাঁওদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শ্রীনগরের ভাগ্যকূলের আশপাশের নিম্নাঞ্চলে বন্যাতঙ্ক বিরাজ করছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে টঙ্গিবাড়ীর কান্দারবাড়ী-শরিষাবন বাঁধের প্রায় ১০ ফুট বিলীন হয়ে গেছে।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পদ্মা নদী অংশে পানি বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপত্সীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া এখনো সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপত্সীমার নিচে রয়েছে। তবে জেলার কোথাও এখনো বন্যার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামের তিনটি চর ও কালুখালীর হরিণবাড়িয়া চরের ফসলি জমিসহ নদীতীরবর্তী ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে কৃষকদের ধান-পাট তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি ধীরে ধীরে কমলেও ধরলার পানি ফের বাড়ছে। গতকাল শনিবার সকালে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপত্সীমার যথাক্রমে ৫৯ ও ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলা পানি বাড়ায় সদর উপজেলা ছাড়াও ফুলবাড়ী, উলিপুর ও রাজারহাটের শতাধিক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তার পানি বেড়ে রাজারহাট ও উলিপুরের ছয়টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত ও কিছু ঘরবাড়ি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..