বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:
বুধবারই বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে তারা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, রাজ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছিলেন অসামাজিক না হয়ে সামাজিক হওয়ার। জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা ঠিক নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কড়া জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানিয়ে দিলেন, বিজেপি মানুষের জন্য কাজ করবে। তাই বিজেপি তার কাজ করবেই। ক্ষমতা থাকলে রাজ্য সরকার বিজেপিকে আটকে দেখাক।
করোনা সঙ্কটের মোকাবিলায় অন্য বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপিও। সেই ধারা বজায় রেখে দিলীপ ঘোষ জানান, কেউ অকাজ–কুকাজ করলে বিজেপি চুপ করে থাকবে না। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নানা অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না পুলিশ। বিজেপি নেতারা এই সময় মানুষের পাশে থাকতে ত্রাণের কাজ করতে পারছে না। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত কথা জানানো হচ্ছে। দিলীপবাবু স্পষ্ট বলেন, ‘বিজেপি সাংসদরা ত্রাণ দিতে গেলে রাজ্য সরকার পুলিশ পাঠিয়ে আটকে দিচ্ছে। মানুষের সব জানা উচিত। তাই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত কথা তুলে ধরছি। আমিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছি। করেও যাব। ক্ষমতা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আটকে দেখান।’
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের হাল নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘সরকারি হাল যখন খারাপ, তখন রাজ্যকে নিজের খরচেই বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব নিতে হবে।’ পাশাপাশি এদিন তিনি টিকিয়াপাড়া এবং বাদুড়িয়ার ঘটনায় পুলিশের অদ্ভুত ভূমিকার জন্য রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘টিকিয়াপাড়ায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে পুলিশ পালিয়ে বেঁচেছে। আর বাদুড়িয়ায় মানুষের ন্যায্য রেশনের দাবি তুলেছিলেন যাঁরা, তাঁদেরই পুলিশ রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য যে কী, তা আজ জলের মতো পরিষ্কার।’