শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে বিদেশি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসকদের অনুমোদনহীন চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এফএসএসবি)।
ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফিরোজা বেগম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক রাশিদা বেগম ও সাইন্টিফিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মারুফ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এ হস্তক্ষেপ চায় সংগঠনটি।
এফএসএসবির অভিযোগ, ভারতীয় কিছু বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন না নিয়েই দেশে প্রবেশ করে সরাসরি রোগী দেখছেন এবং ফার্টিলিটি মেলাগুলোকে শুধু ‘কালেকশন সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে যেমন চিকিৎসা শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে, তেমনি প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরাও।
প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, দুই মাস আগে একটি ফার্টিলিটি মেলায় অননুমোদিতভাবে রোগী দেখার ঘটনার স্থানীয় সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিএমডিসি থেকে সতর্কতামূলক নোটিশ জারি হলেও, এসব কার্যক্রম এখনো বিভিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করে এফএসএসবি।
এফএসএসবি জানায়, দেশে বর্তমানে এফসিপিএস ও এমএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রায় ৭০-৮০ জন তরুণ বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসক রয়েছেন, যারা রোগীদেরকে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে সক্ষম। অথচ এসব দক্ষ চিকিৎসকদের উপেক্ষা করে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অননুমোদিত কার্যক্রম রোগীসেবায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একইসঙ্গে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অপচয় হচ্ছে।
আরও বলা হয়, এসব বিদেশি চিকিৎসক অনেক সময় অজ্ঞাতনামা ডোনার ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, যা ইসলামী শরীয়াহ ও বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এতে রোগীরা না বুঝেই প্রতারিত হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে এর জটিল সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে এফএসএসবি।
এই পরিস্থিতিতে এফএসএসবি তিনটি সুস্পষ্ট দাবিও উত্থাপন করেছে। দাবিগুলো হলো—
১. বিদেশি চিকিৎসকদের অননুমোদিতভাবে রোগী দেখা বন্ধে বিএমডিসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. বিদেশি ফার্টিলিটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত মেলা বা প্রমোশনাল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
৩. গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।