প্রত্যয় নিউজডেস্ক: মহামারি কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী ইংল্যান্ডজুড়ে তিন স্তরের বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় নিম্ন তথা মাঝারি পর্যায়ের বিধিনিষেধ চালু হলেও উত্তর এবং মিডল্যান্ডে কয়েক মিলিয়ন মানুষের পারিবারিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ ছাড়াও জারি করা হয়েছে অতিরিক্ত কিছু বিধিনিষেধ।
বিবিসি এ খবর জানিয়ে লিখেছে, সবচেয়ে কঠোর অর্থাৎ সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে লিভারপুল অঞ্চলে। অঞ্চলটির যেসব বার ও পাবস খাবার সরবরাহ করে না সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং আরও কিছু অঞ্চলে কঠোর অর্থাৎ সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ জারি করা যায় কিনা এ নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার পরপরই লিভারপুল শহরে অনেক মানুষকে একসঙ্গে দেখলেই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে পুলিশ। এ দিকে সোমবার থেকে অর্ধমেয়াদে স্কুল বন্ধের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে উত্তর আয়ারল্যান্ড। এ ছাড়া ভাইরাসের বিস্তার ঠকাতে আরও কিছু বিধিনিষেধও কার্যকর হতে যাচ্ছে।
গোটা ইংল্যান্ডের সর্বত্র তিন স্তরের নতুন এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে জানিয়ে বিবিসি আরও লিখেছে, কোথাও মাঝারি কোথাও উচ্চ কিংবা কোথাও আবার অতি উচ্চ মাত্রার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মাঝারি পর্যায়ের বিধিনিষেধ আওতাধীন এলাকাগুলোতে এখন জাতীয়ভাবে জারি বিধিনিষেধ চালু আছে। এর মধ্যে ঘরে কিংবা বাইরে ছয় জনের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না। রাত ১০টায় বন্ধ হবে পাব, বার ও রেস্তোরাঁ।
এ ছাড়া উচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিমের বেশিরভাগ এলাকা এবং মিডল্যান্ডের কিছু এলাকায়। এসব অঞ্চলে এক পরিবারের অন্য পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।
অতি-উচ্চমাত্রার এলাকাগুলো আবার অতিরিক্ত বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত। এ ক্ষেত্রে ঘরের ভেতর, অনুষ্ঠানস্থল কিংবা বেসরকারি বাগান এলাকাগুলোতেও এক পরিবারের অন্য পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অনুমতি নেই।