স্পোর্টস ডেস্ক: একই দিনে পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি করলেন। কিন্তু একটি সেঞ্চুরিও কাজে লাগলো না। ম্লান হয়ে গেলো নিজ নিজ দলের পরাজয়ের মধ্য।
বুধবার ভোরে দেশের মানুষ ঘুম থেকে উঠেই দেখে নেলসনে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য সরকার। ১৫১ বলে ১৬৯ রানের অনবদ্য একটি ইনিংসও খেলেছেন তিনি। কিন্তু ম্যাচ শেষে ৭ উইকেটে জয়ী স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ১৬৯ রানের বিশাল স্কোরের ইনিংস খেলেও সৌম্য সরকারকে থাকতে হলো পরাজিতের দলে।
দিনের শেষ অংশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করলেন নারী ক্রিকেটার ফারজানা হক। তার খেলা ১০২ রানের ইনিংসটিও কোনো কাজে লাগলো না। স্বাগতিকদের কয়েকজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কাছে হেরে গেলো বাংলাদেশ। বিফলে গেলো ফারজানা হকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটিও।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের গড়া ২২২ রানের ইনিংস ৪৫.১ ওভারেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়া নারীরা।
আগের ম্যাচে মুর্শিদা খাতুনের ৯১ রানের ওপর ভর করে ২৫০ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ১১৯ রানের বড় ব্যবধানে। এবার বড় ব্যবধানে হারতে হলো নারী ক্রিকেটারদের।
২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের দুই ওপেনার শুরু থেকেই ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দ। ১০৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন তারা দুজন। এ সময় ৮৪ বল খেলে ৫০ রান করে আউট হন তাজমিন ব্রিটস। রিতু মনির বলে মারুফা আক্তার ক্যাচ ধরেন।
একই রানে বসিয়ে আরেক ওপেনার এবং অধিনায়ক লরা ভোলভারডটকে সাজঘরে ফেরান ফাহিমা খাতুন। ৬৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর আর প্রোটিয়াদের কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আনিকা বোস এবং সানে লাস মিলে গড়ে তোলেন ১১৭ রানের আরও একটি দুর্দান্ত জুটি। ৬৩ বলে ৬৫ রান করেন আনিকা বোস এবং ৫৭ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সানে লাস।
প্রোটিয়াদের এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। ২৩ ডিসেম্বর তাই শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো সিরিজ নির্ধারণী তথা ফাইনাল ম্যাচে।