প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আঞ্চলিক কার্যালয়সহ ডিএসসিসির বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনে বের হচ্ছেন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডিএসসিসির আওতাধীন দক্ষিণ বনশ্রী প্রধান সড়ক, অঞ্চল-৬-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান (মোস্তফা মাঝি মোড়), ধলপুর-যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এবং সর্বশেষ জয় কালী মন্দির ও কাপ্তানবাজার সড়কের তিন রাস্তা মোড় পরিদর্শন করবেন মেয়র। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এ তথ্য জানান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনে ডিএসসিসির আওতাধীন সকল কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার, বাজার সুপারভাইজার, রাজস্ব সহকারীসহ রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র তাপস। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাশীল সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা জানেন, প্রতি বুধবার আমি বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শনে যাই। পরিদর্শনের সময় আমি যেকোনো দোকানে, যেকোনো বাসায় যেতে পারি। যেকোনো কারখানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যেতে পারি। সেখানে আমি জিজ্ঞেস করব কর আদায় হয়েছে কি-না? সেখানে যদি সঠিকভাবে কর না পাই তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আমি কিন্তু ব্যবস্থা নেব।’
মেয়র বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের চিত্র পরখ করে দেখতে যেকোনো সময় যেকোনো বাড়ি, স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাব। কোথাও গিয়ে কারো বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে, সে সময় কোনো অজুহাত চলবে না। তখন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের সুবিধার্থে ও রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা ও সংকটের যথাযথ সমাধান করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘দুষ্টের দমন সৃষ্টের লালন অব্যাহত থাকবে। যারা ভালো কাজ করবেন, যারা আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করব। আর যারা দুর্নীতিগ্রস্ত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদেরকে অপসারণ করা হতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় দেয়ার প্রশ্ন তো নেই-ই, এ ব্যাপারে কোনো অলসতাও বরদাস্ত করা হবে না।’
রাজস্ব আদায় তদারকির লক্ষ্যে প্রতি তিন মাস অন্তর সকল কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে পর্যালোচনা সভা করা হবে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, ‘এখন থেকে সকল উপ-করকর্মকর্তারা প্রতিদিন করকর্মকর্তাদের কাছে দৈনন্দিন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবেন। কে কোথায় কী কাজ করেছেন? কত আদায় হয়েছে, আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু অর্জিত হয়েছে ও কতটুকু হয়নি-এ সকল তথ্যাদি প্রতিবেদনে থাকতে হবে। এরপর সকল কর কর্মকর্তারা সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে তাদের কাজের পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।’
মেয়র বলেন, কাজ করতে গিয়ে কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাদেরকে অবহিত করবেন।