প্রত্যয় ডেস্ক: লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার যারা হংকংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন তাদের দিয়েই প্রথমবারের মতো কোনো বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। যে কেউ পরীক্ষা করাতে পারবেন। তবে এর জন্য ফ্লাইটের এক ঘণ্টা আগে উপস্থিতি থাকা ছাড়াও ফি হিসেবে দিতে হবে ৮০ পাউন্ড। মহামারির বিস্তার ঠেকাতে এখন অনেক দেশের বিমানবন্দরেই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে কোনো যাত্রী যেনো গন্তব্যে পৌঁছে বিপদে না পড়েন তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি গণমাধ্যম বিবিসি।
মুখের লালা দিয়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত কিনা তা জানতে পারবেন যাত্রীরা। এভাবে পরীক্ষা করার পদ্ধতিটি ল্যাম্প টেস্ট নামে পরিচিত। হিথ্রো বিমানবন্দরের দুই ও পাঁচ নম্বর টার্মিনালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের এই সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিক এবং ক্যাথে প্যাসিফিক। হিথ্রো বিমানবন্দরে সুবিধাটি চালু করেছে কলিনসন। কোম্পানিটির আশা, ইতালি প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের এই পদক্ষেপ কাজে দেবে। তবে এ নিয়ে ইতালি সরকারের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলমান। এদিকে লন্ডন থেকে যারা হংকং যাচ্ছেন তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশেই এখন মহামারি করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় যুক্তরাজ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকাভূক্ত করছে। প্রতিনিয়ত এসব দেশের সংখ্যা বাড়ছেই। যুক্তরাজ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকাভূক্ত করার অর্থ হচ্ছে, ব্রিটিশদের এসব দেশে যেতে হলে বাড়তি বিধিনিষেধ ও কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ব্রিটিশ বিমান সংস্থাগুলোর জোট এয়ারলাইন্স ইউকের প্রধান নির্বাহী টিম আলডারস্লেড পরীক্ষার ফি কমানো উচিত জানিয়ে বলেন, ‘বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য ৮০ পাউন্ড কিছুটা ব্যয়সাপেক্ষ। আমরা সরকারকে বলেছি, যুক্তরাজ্যে আসা সব যাত্রীরই করোনা পরীক্ষা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে ফি রাখা উচিত ৫০-৬০ পাউন্ড।’