স্পোর্টস ডেস্ক: অল্প কদিনের মাঝেই মাঠে গড়াবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে বসবে ৪৫ দিনের এই ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ। এই বিশ্বকাপের ডামাডোলের মাঝেই নিজেদের অন্য আরেক আসরের জন্য ভেন্যু চূড়ান্তের কাজে হাত দিয়েছে বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আরও ৭টি ভেন্যু চূড়ান্ত করা হয়েছে।
২০২৪ সালে প্রথমবারের মত যৌথভাবে আয়োজন করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আয়জনের দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কদিন আগেই সেখানকার তিন ভেন্যু চূড়ান্ত করেছিল আইসিসি। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি, ফ্লোরিডার ব্রোয়ার্ড কাউন্টি এবং নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি গ্রাউন্ডে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। এবার নির্ধারণ করা হল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ভেন্যু।
অ্যান্টিগা, বার্বাডোজ, ডমিনিকা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। এর মাধ্যমে ২০১০ বিশ্বকাপের পর আরও একবার আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক হতে যাচ্ছে ক্যারিবিয়ানরা।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস ভেন্যু চূড়ান্তের ব্যাপারে জানান, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপের জন্য সাতটি ক্যারিবিয়ান ভেন্যুর নাম ঘোষণা করছি। সবগুলো ভেন্যুই জনপ্রিয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এটা তৃতীয় আইসিসি ইভেন্ট, এই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো সমর্থকদের ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ক্রিকেট উপভোগের অন্য রকম অভিজ্ঞতা দেবে।’
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বিশ্বকাপের সুপার এইট ও ফাইনাল আয়োজনে এগিয়ে আছে বার্বাডোজ এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো। ফাইনাল হতে পারে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে কিংবা বার্বাডোজের কেনিংটন ওভালে।
এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপ এবং ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার তারা ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চলেছে। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে ১৫টি দল এরইমাঝে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
দুই আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সর্বশেষ আসরের সেরা আট দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানও আছে এই তালিকায়। এছাড়া ইউরোপীয় বাছাইয়ের সেরা স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড এবং পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের বাছাইয়ের বিজয়ী পাপুয়া নিউগিনি যুক্ত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।