দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তাসকিনের বলে ক্রিস ওকসের ক্যাচ ছেড়ে ৩২ কোটি খালি খেয়েছিলাম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ক্রিকেটের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গতকাল শুক্রবার (০৮ মে) রাতে তাসকিন ও রুবেল হোসেনের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এক ঘণ্টার মতো আড্ডায় একথা জানান তামিম।
নিজেদের মধ্যকার মজার স্মৃতি টেনে তামিমের কাছে প্রশ্ন রাখেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। অ্যাডিলেডের ম্যাচে তাসকিনের বলে আপনি যে ক্যাচ ছেড়েছিলেন, তখন আপনার অনুভূতি কী হয়েছিল?’ এবার তামিমের উত্তর, ‘ক্যাচ ছাড়ার পর আমার মনে হচ্ছিল, আল্লাহ, মাটি ফাঁক হয়ে যাক, আমি এর ভেতর ঢুকে পড়ি। আমাকে আর কারও দেখার দরকার নেই। আমি ওই মুহূর্তে একসঙ্গে ৩২ কোটি গালি খেয়েছি। ৩২ কোটি কারণ, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ, একটা করে গালি তো দেয়নি, দুইটা করে দিয়েছে সবাই।’
অবশ্য ওই ম্যাচে তামিমকে বাঁচিয়ে দেন পেসার রুবেল। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ জেতানো নায়ক রুবেলের পেছনে জয়ের আনন্দে সবাই দৌড়ালেও তামিম দৌড়িয়েছেন ‘মুক্তি’র আনন্দে, ‘রুবেল যখন এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে নিলো। ওই খেলার হাইলাইটস দেখলে দেখবি সবাই রুবেলের পেছনে দৌড়ায়। সবাই তো রুবেলের পেছনে দৌড়েছে যে ম্যাচ জিতে গেছি বলে, আর আমি রুবেলের পেছনে দৌড়েছি যে, আমি বেঁচে গেছি (হাসি)! যদি ওই ম্যাচ হারতাম, তাহলে আমার আর বাংলাদেশে আসা লাগতো না।’
এখন তামিম যেগুলো বিশ্বকাপ খেলেছে; প্রতি বিশ্বকাপেই তার হাত থেকে ক্যাচ ছুটেছে। গত বিশ্বকাপেও ৯ রানে তামিমের কাছ থেকে ‘জীবন’ পেয়ে সেঞ্চুরি করেন ভারতের রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপেই কেন এমন হয়? উত্তরটা জানা নেই তামিমের, ‘আল্লাহই জানে, কেন বিশ্বকাপ আসলেই আমার কাছ থেকে ক্যাচ ছুটে যায়, গত বিশ্বকাপেও ক্যাচ ছুটে গেছে। আশা করি, ২০২৩ বিশ্বকাপে সব পুষিয়ে দেবো।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন