রাঙামাটির বাজার গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে হবে
চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি :রাঙামাটির বাজার গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন বক্তৃতারা। সোমবার ১৫ মার্চ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন,
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আল মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটির উপপরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাঙামাটির সহকারী পরিচালক মোঃ হাসানুজ্জামান, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নন্দন দেবনাথ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাঙামাটির সহকারী পরিচালক মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, সাধারণত যিনি কোন পণ্য ভোগ করেন তাকেই ভোক্তা বোঝানো হয়। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে এটি সঠিক নয়। বাংলাদেশ সরকারের ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ এর ১৯ নং ধারায় যা বলা হয়েছে- ‘যিনি অর্থের বিনিময়ে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় অথবা ভাড়া করেন তিনিই ভোক্তা।’ এখানে ভোগ করার চেয়ে গ্রহণ করাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া পণ্যের পাশাপশি সেবাগ্রহীতাও যে ভোক্তা তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে চারটি অধিকারকে বিস্তৃত করে আরো চারটি অধিকারকে সংযুক্ত করা হয়। ওই বছর থেকে ভোক্তাদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘কনজুমার ইন্টারন্যাশনাল’ (সিআই) আটটি অধিকারকে সনদভুক্ত করে। সেগুলো হচ্ছে- ১. মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার। ২. তথ্য পাওয়ার অধিকার। ৩. নিরাপদ পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার। ৪. পছন্দের অধিকার। ৫. জানার অধিকার। ৬. অভিযোগ ও প্রতিকার পাওয়া অধিকার। ৭. ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভের অধিকার। এবং ৮. সুস্থ পরিবেশের অধিকার।
পরে রাঙামাটির প্রধান বাজার গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ভেজাল খাদ্যর পাশাপাশি সচেতনার বৃদ্ধির জন্য বাজারে লিফলেট ও কালেন্ডার বিতরণ করা হয়
## চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙ্গামাটি।