নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলোকে কম মুনাফা করার অনুরোধ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনার এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সারা বিশে^র সঙ্গে এদেশের কৃষকরাও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি। এটি মোকাবিলায় সরকার কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তুকিসহ নানা প্রণোদনা দিচ্ছে। এ বছর কৃষকের ক্রয় ক্ষমতা ও আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাইব্রিড ধান বীজ, ভুট্টা বীজ ও সবজি বীজসহ অন্যান্য বীজে কম মুনাফা অর্জন করার জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) নিয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলোকে কৃষকের সেবায়, কৃষির সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।
সরকারি বাসভবন থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসজনিত বিরাজমান পরিস্থিতিতে ‘বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও বিপণন নিরবচ্ছিন্ন রাখা’ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনলাইন সভায় এ কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুরুর দিকে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি বাজারজাতে কিছু সমস্যা থাকলেও এখন সেই সমস্যা নেই। মোটামুটি ভালো দামেই চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেন। আমন ধান আবাদের এরিয়া বোরোর চেয়ে বেশি হলেও উৎপাদন অনেক কম। একমাত্র উচ্চফলনশীল জাতের গুণগতমানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা ১৫-২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব।
অনলাইন সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান, কমলারঞ্জন দাশ, আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ, মো. হাসানুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. এসএম নাজমুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হেমনাথ ভান্ডারি এবং সুপ্রিম সীড, এসিআই, এমএম ইস্পাহানি, ব্র্যাক, ইউনাইটেড সীড, মল্লিকা সীড, লাল তীর সিড, সিনজেনটা, বায়ার ক্রপস, পারটেক্স এগ্রো, মেটাল সীড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সারা বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের যে আশঙ্কা রয়েছে, আশা করা যায় বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না।
সভায় জানানো হয়, এবারই প্রথম সরকার বীজেও ভর্তুকি দিয়েছে। বিএডিসির ১৯ হাজার ৫০০ টন আমন ধানবীজ চাষি পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষি পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।