সুমন,মোংলা(বাগেরহাট) সংবাদদাতা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বুড়িরডাঙ্গা সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ধর্মীয় শোভাযাত্রা করা হয়েছে।
বুধবার(৬সেপ্টেম্বর)সকাল ১০টায় বুড়িরডাঙ্গা কালিবাড়ি সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দিরের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি কালিবাড়ি কেন্দ্রীয় মন্দির থেকে শুরু হয়ে দিগরাজ বাজার চত্বরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় মন্দিরে এসে শেষ হয়।
ধর্মীয় এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বুড়িরডাঙ্গা কালিবাড়ি সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দিরের সভাপতি বাবু দীপক রায়।
শোভাযাত্রার শুভ উদ্ভধন করেন বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু উদয় শংকর বিশ্বাস।
এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু নিখিল চন্দ্র রায়,জন্মাষ্টমী পরিচালনা কমিটি সভাপতি বাবু বিবেকানন্দ হালদার,শাপলা যুব সংঘের সভাপতি কানুপ্রীয় সরদার,কালি বাড়ি ধর্মীয় শিক্ষালয়ের পরিচালক সমীর বিশ্বাস, শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের পুরোহিত শ্রীবাস রায়, জন্মাষ্টমী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু অনুরুদ্ধ বিশ্বাস,জন্মাষ্টমী কমিটির কোষাধ্যক্ষ পলাশ হালদার,ধর্মীয় শিক্ষালয়ের পরিচালক আশিষ বিশ্বাস,গিরিধারী সম্প্রদায়ের পরিচালক পরিহ্মীত রায়,সাপ্তাহিক ভাগবত পাঠক যুধিষ্ঠীর রায়,মন্দীর সেবায়ীক নিতাই রায়,রাস উৎসব কমিটির সদস্য শিখা রানী ও কাকলী বিশ্বাস,রাস উৎসব কমিটির সভানেত্রী তৃষ্ণা বিশ্বাস সহ সকল ভক্তবৃন্দ।
শোভাযাত্রায় এলাকার বিভিন্ন মন্দির থেকে আগত ভক্তরা ঢাকঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত হয়ে অংশ নেয়। এ সময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন ভক্তরা।
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিশ্বাস করেন, প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ দিনে এক যুগ-সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হন সনাতন ধর্মের প্রবর্তক ও মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। মামা কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরাধামে আসেন তিনি।
শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে শ্রীকৃষ্ণ ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।