বৃটেনে অনেক বিদেশি যারা বিভিন্ন দেশ থেকে পড়ালেখা ও কাজের সন্ধানে এসেছেন, ভালোই কাটছিল দিনকাল কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে অনিশ্চিত হয়ে গেল ভবিষ্যৎ। বর্তমান সময়ে তাদের জীবন খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
কাজের ভিসায় যারা এসেছিলেন করোনার প্রাদুর্ভাবে স্থবির অর্থনীতির কারণে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ বিদেশি কর্মী বৃটেনে টিয়ার-২ ভিসার আওতায় কাজের সুযোগ পান যার অধিকাংশই তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশ থেকে আসেন। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এসব ভিসার প্রায় অর্ধেক ভারতীয় নাগরিকদের দেয়া হয়। গত মাসে ইউকে হোম অফিস এ সকল বিদেশী কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশনা জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে, “যেসকল বিদেশীদের ভিসার মেয়াদ ২৪ শে জানুয়ারী থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী বলে গন্য করা হবেনা, তাদের ভিসার মেয়াদ ৩১শে মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হবে, ক্ষেত্রবিশেষে তা আরও বাড়ানো হতে পারে। তাদের সাহায্যের জন্য টেলিফোন হেলপ লাইন চালু আছে।”
বর্তমান অভিবাসন আইনানুযায়ী যারা কাজের ভিসা নিয়ে বৃটেনে ৫ বছরের কম সময় অবস্থান করছেন তাদের স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি নেই এবং যারা কর্মস্থল থেকে চাকুরিচ্যুত হয়েছেন তাদেরকে ৬০ দিনের মধ্যে বৃটেন ছেড়ে নিজ দেশে ফেরত যেতে হয়। বৃটেনে কাজের ভিসা পেতে হলে বিদেশী কর্মী নিয়োগের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক ৩০,০০০ পাউন্ড বেতনের চাকরির নিয়োগপত্র/স্পনশরশীপ দেখাতে হয় এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রমাণ করতে হবে যে এই কাজের জন্য স্থানীয় বৃটিশ নাগরিক পাওয়া যায়নি।
এখন করোনার কারণে এসব বিদেশী কর্মী চাকুরী হারালে, অন্য যায়গায় চাকুরী খোঁজতে পারবেন কিন্তু পেপার ওয়ার্কের ঝামেলা পোহাতে গিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ দিতে রাজি নাও হতে পারে। আর যদি তাই হয় তাহলে নিরাশ হয়ে ব্যাগ পত্র ঘুচিয়ে এসব কর্মীদের নিজ দেশের বিমান ধরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
ওবায়দুর রহমান রুহেল
অনুবাদ করা হয়েছে কিউ জেড ডট কম থেকে