গাজী মো. তাহেরুল আলম: বয়স ৯১ বছর।জীবনের শুরুটাই কষ্ট দিয়ে। বয়সের ভারে লাঠি ভর দিয়ে হাঁটেন। ২ ছেলে ও ১ মেয়ে থাকলেও এরা বৃদ্ধ বাবা-মা’র দুর্দিনের সাথী হতে পারেনি। “দুই ছেলেকে দুই কানি জমি ভেবে বড় করলেও আজ তারা খবর রাখেন না” এমনটিই বললেন, বৃদ্ধ দীল মোহাম্মদ।
ভিক্ষে করতে এলে তার অসহায়ত্ব আমার চোখে পড়ে। ভোলার লালমোহন কালমা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী মনিরউদ্দিন বাড়ির মৃত ইয়াছিনের পুত্র তিনি। বয়স্কভাতা আর ভিক্ষায় সংসার চলে স্বামী-স্ত্রীর। চিকিৎসা করার সামর্থ নেই। রোগ-শোকে চলছে অস্তমিত জীবনের গল্প। এমন দীল মোহাম্মদকে দেখলে কার না কষ্ট লাগে বলুন, এরাওতো মানুষ!
এই বৃদ্ধকে একটু সহানুভূতি দেখালেই তিনি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে যে কাউকে জড়িয়ে ধরেন। সমাজে যারা বিত্তবান তারা যদি বরফগলা হৃদয়টা নিয়ে অসহায় দীল মোহাম্মদকে আপন করে নেন তাহলেই গড়ে উঠতে পারে ক্ষুধাহীন আলোকিত সমাজ।