স্পোর্টস ডেস্ক: পুরো ভারতবর্ষজুড়েই যেন বৃষ্টির আনাগোনা। আসামের গুয়াহাটি থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারতের থিরুভানান্তাপুরম- কোন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে না! গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ভেসে যেতে বসেছিলো বৃষ্টির কারণে। পরে কার্টেল ওভারে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। থিরুভানান্তাপুরমেও একই অবস্থা।
নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচও বৃষ্টির কবলে পড়েছিলো। নিউজিল্যান্ড পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে বৃষ্টি হানা দিয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত ৩৭ ওভারে ২১৯ রানের লক্ষ্য পেয়েছিলো প্রোটিয়ারা। কিন্তু সে লক্ষ্যে তারা পৌঁছাতে পারেনি। ৭ রান আগে থেমে যেতে হলো।
কুইন্টন ডি কক এবং রাশি ফন ডার ডুসেন মিলে যথেষ্ট লড়াই করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেন না। ২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ওপেনার রিজা হেন্ডরিক্স শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এরপর কুইন্টন ডি কক এবং রাশি ফন ডার ডুসেন মিলে ৭২ রানের জুটি গড়েন।
৫৬ বলে ৫১ রান করে আউট হন ফন ডার ডুসেন। ৮৯ বলে ৮৪ রান করেন কুইন্টন ডি কক। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে হেনরিক ক্লাসেন ৩৭ বলে করেন ৩৯ রান। ডেভিড মিলার ২৬ বলে ১৮ রানের স্লো ইনিংসটি না খেললে হয়তো জয় পেতো দক্ষিণ আফ্রিকাই। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৩৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানে থেমে যায় প্রোটিয়ারা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেনে উইলিয়ামসন। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে তারা সংগ্রহ করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান। ডেভন কনওয়ে ৭৩ বলে ৭৮ রান করেন। কেনে উইলিয়ামসন ৫১ বলে ৩৭ রান করে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান।
টম ল্যাথাম ৫৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন। ৪০ বলে ৪৩ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। ১৬ বলে ২৫ রান করেন ড্যারিল মিচেল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি এবং মার্কো জানসেন।