বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:গ্রিন জোন দিয়ে বাস চলতে পারে। পাশাপাশি ২০ জনের বেশি যাত্রী বাসে তোলা যাবে না বাসে। এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, ‘শর্ত মেনে সোমবার থেকে বাস চালাতে পারেন বাস মালিকেরা। ওইদিন থেকেই রাজ্যের গ্রিন জোনগুলিতে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা শুরু হবে।’ উল্লেখ্য, ৩ তারিখে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হলে কেন্দ্রীয় সরকার তার মেয়াদ বাড়াবে কিনা জানায়নি। তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও রাজ্য সরকার তাতে কিছু ছাড় দিতে পারে। সেই অনুযায়ী গ্রিন জোনগুলিতে শর্ত মেনে বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে বেসরকারি বাসের মালিকদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘বাস চালালে যাত্রী অবশ্যই স্যানিটাইজ করে বাসে তুলতে হবে। বাস মালিকেরা যদি নিয়ম না মানেন, তা হলে এই নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হবে।’ তবে বাস মালিকদের বক্তব্য, এই শর্ত মেনে বাস চালালে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়ে যাবেন তাঁরা। প্রথমত, গ্রিন জোন অনুযায়ী বাস চালাতে অনেক অসুবিধে। কারণ, বাস চলে তার রুট অনুযায়ী। সেই রুট কম দীর্ঘ হয় না। এই দীর্ঘ রুটের মাঝে গ্রিন জোন, অরেঞ্জ জোন বা রেড জোন থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে জোনের শর্ত মেনে রুট অনুযায়ী বাস চালানো খুবই কঠিন। তা ছাড়া যাত্রী পিছু টিকিটের মূল্যের মধ্যে বাসের কন্ডাকটর, ড্রাইভারদের কমিশনও থাকে। এর পর থাকে বাসের রক্ষণাবেক্ষণ, কন্ডাকটর–ড্রাইভারের মাইনে, তেলের দাম প্রভৃতি খরচও। এমনিতেই টিকিটের দাম সে ভাবে না বাড়ায় বেসরকারি বাসগুলি লোকসানের মধ্য দিয়েই চলছে।
মাত্র ২০ জন যাত্রী তোলা যদি নিয়ম হয়, তা হলে বাসের আয় একেবারেই কমে যাবে। যদি রাজ্য সরকারের শর্ত মেনে বাস চালাতে হয়, তা হলে লোকসানের অঙ্ক যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তার ঠিক নেই। তাই সরকারের শর্ত মেনে বাস চালানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বেসরকারি বাস মালিকেরা। তবে সোমবার থেকে গ্রিন জোন দিয়ে সরকারি বাস চলাচল শুরু হবে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে।