সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: কালবৈশাখী ঝড়ে বদলে গেছে মোংলার দিগরাজ বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের চিত্র। প্রবল তাণ্ডবে বুধবার (২৯মার্চ) রাতে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। ক্ষয়ক্ষতি হয় বসতবাড়ি, গাছপালা, ডালপালা দুমড়ে মুচড়ে পড়ে বিভিন্ন সড়কে। ব্যাহত হয় যানচলাচল। বাতাসের কারণে ঝরে গেছে ছোট ছোট আম। ক্ষতি হয়েছে ফসল ও হ্মেতের ফসলের । মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজ রোড পাঁচ নং ওয়ার্ড চন্দ্রিকা রায় (মহিলা মেম্বর) স্বামী বাবু সঞ্জয় রায়ের বসত ঘরের উপরে ঝড়ের আঘাতে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে তছনছ হয়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার ৪০০ গ্রাহক। ঝড়ের তীব্রতায় এলাকায় অসংখ্য গাছপালারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘর। গৃহকর্তা সঞ্জয় রায় বলেন, আমার ঘরে রাত ১১ টার দিকে হটাৎ ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে ভেঙ্গে পড়ে ঘরটি। এতে ২ লাখ টাকার বেশি মালামাল ছিলো আমার ঘরে। নষ্ট হয়ে গেছে পানির ট্যাংকটিও। আমি গরিব মানুষ অনেক কষ্ট করে গড়ে তুলেছিলাম ঘরটি। আমার এরকম ঘর গড়ে তোলার সামর্থ আর নেই। তাই উর্ধতন কর্মকর্তার প্রতি দাবি জানাই আমার ঘরের ক্ষতি পূরনের।
ঝড়ের পরদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, তিনি বলেন ইউনিয়নের সকল স্থানে আমি ঘুরে ঘুরে দেখাশোনা করেছি কারো কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। তবে আমার ইউনিয়নে খুটিনাটি সমস্যা অনেক হয়েছে। তারমধ্যে এই সঞ্জয় রায়ের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। আসলে প্রাকৃতিকভাবে ঝড়টি হয়েছে।আমি আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এবং আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যতটুকু পারি সাহায্যের চেষ্টা করব। এবং আমি একটু দাবির সাথে বলি যারা বৈদ্যুতিক কাজে কর্মরত আছেন সকলে দৃষ্টি রাখবেন যে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি ঠিক আছে কিনা। খুঁটিতে টানা রয়েছে এগুলো ঠিক আছে কিনা। কারন এখানে যে সমস্যাটা হয়েছে ঘরে কোন লোক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি আজ এখানে হতো। তাই এগুলো আপনারা দ্বায়িত্বের সাথে দেখবেন।
এদিকে খুঁটি পড়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পিলারটি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে আসেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামপালের ভাগা কার্যালয়ের ডিজিএম নওশের আলী। তিনি বলেন, আমি ২৫জন লেবার ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলেও ইউপি মেম্বর চন্দ্রিকাসহ স্থানীয়রা ঘরের ক্ষতিপূরণের দাবীতে কাজে বাঁধা দেন। এরপর আলাপআলোচনা শেষে দুপুর ২টার দিকে পিলারটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিলে স্থানীয়রা নতুন করে পিলার বসাতে দিবেন না বলে বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়েছে, আর এনিয়ে আমাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারপরও কথা বার্তা চলছে যদি নতুন পিলার বসাতে না দেয়া হয় তাহলে আমরা চলে যাবো। তাতে এলাকার ৪শ পরিবার অন্ধকারে থাকবেন। তারপরও দেখছি কি করা যায়।