স্পোর্টস ডেস্ক: ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার পর অনেকে মনে করছেন রেকর্ড অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ফুটবলের বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট গোল ডট কমের সেরা পাঁচ ফেভারিটের তালিকায়ও আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে কাতারে আরাধ্য বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে আর তেমন মাথাব্যথা নেই মেসির।
পিএসজির পাঠ চুকিয়ে আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে দারুণ সময় কাটছে মেসির। ৬ ম্যাচে ৯ গোল করে রীতিমত উড়ছেন তিনি। মেসি নামক পরশপাথরের ছোঁয়ায় যেন রাতারাতি বদলে গেছে মায়ামির গোলাপি শিবির। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ক্লাবটিকে ফাইনালে তুলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
শনিবার ভোরে ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে লিগ কাপের ফাইনালের আগে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন মেসি। ব্যালন ডি’অর প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনেকবার বলেছি- ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার নয়। ব্যক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার কিন্তু আমি কখনোই এটাকে গুরুত্ব দেইনি। সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের হয়ে কোনো অর্জন। বিশ্বকাপ জেতার পর, যেটা আমি জিততে পারছিলাম না; এখন আমি এমনকি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছিও না।’
আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ ছিল সবচেয়ে সেরা অর্জন আর এখন আমি সময়গুলো উপভোগ করছি কেবল। সত্যিটা হচ্ছে আমি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছি না। যদি এটা আসে, তাহলে সুন্দর একটা ব্যাপার হবে। যদি না পাই, কিছুই হবে না। এখন ইন্টার মায়ামির হয়ে আমার নতুন চাওয়া আছে। ’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মতো না হলেও সেখান থেকে খুব বেশি দূরেও নয় বলে মনে করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফুটবলারের মতে, ‘এখানে ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই আছে। এই উন্নতি অনেকাংশে লিগের ওপর নির্ভর করছে। এখনই সেই সময়। সামনে এ দেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাও আছে।’
ইন্টার মায়ামি মেসির জন্য নতুন ক্লাব হলেও এই শহরটা নতুন নয়। এ সম্পর্কে বলেন, তিনি বলেন, ‘আমি এই শহরকে দেখে চমকে যাইনি, কারণ এখানে আগেও ছিলাম। জানতাম এখানকার মানুষ কেমন আর ইতোমধ্যে আমি পছন্দ করতে শুরু করেছি। আমি খুশি, জীবনের নতুন ধাপ উপভোগ করছি, এই দেশে থাকার অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। যেটা সবসময়ই আমার মাথায় ছিল।’