প্রত্যয় নিউজডেস্ক: সম্প্রতি নতুন এক ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার এই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উত্তর কোরিয়ার এভাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করার ঘটনা হতাশাজনক। অপরদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি লিকুইড ফুয়েল মিসাইল হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র। এতে একাধিক ওয়ারহেড বহন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে মিলিটারি প্যারেডে বিশালাকার ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। এদিকে, ডেইলি সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের রাজপথে নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখার পর বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ট্রাম্প তার এই হতাশার কথা হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তার সামনে তুলে ধরেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র অতীতে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রদর্শিত যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে আকারে বড়।
একটি বিশাল সামরিক ট্রাকে করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রদর্শন করা হয়েছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অত্যাধুনিক ট্রাক বা মিসাইল লঞ্চার থেকেই আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি যে কোনও জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। শুধু তাই নয়, এতো বড় আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বে আর কোনো দেশের নেই।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া ‘হাওয়াসং-১৫’ নামের যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি তার চেয়েও অনেক বড়। হাওয়াসং-১৫ দিয়ে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে আঘাত হানতে পারবে বলে সে সময় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত তিনবার সরাসরি সাক্ষাত করেছেন। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাই ছিল এসব সাক্ষাতের উদ্দেশ্য; কিন্তু তার কোনোটিই সফল হয়নি।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, আগামী ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ফেলবেন। অপরদিকে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী করেছে।