স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট বিশ্বকে কিছুটা অবাকই করেছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ফর্মে থাকা অবস্থাতেই দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। এমন ঘোষণার পর সতীর্থ আর সাবেকদের প্রশংসায় ভাসছেন ব্রড। তবে এদের মাঝে একজনের শুভেচ্ছা বার্তা নজর করেছে সবার। তিনি ভারতের হার্ডহিটার ব্যাটার যুবরাজ সিং।
২০০৭ সালে ২১ বছরের তরুণ ব্রডের এক ওভারে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে রীতিমতো আলোচনা জন্ম দিয়েছিলেন যুবরাজ। টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের সেই ঘটনা নিঃসন্দেহে দুজনের ক্যারিয়ারের বড় দিক। তবে, ক্যারিয়ারের শুরুতেই এমন নাস্তানাবুদ হবার পরেও ব্রড ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে।
টুইটারে তাই যুবরাজ নিজেও কুর্নিশ জানিয়েছেন ইংলিশ এই পেসারকে, ‘স্টুয়ার্ট ব্রড, কুর্নিশ নাও। অবিশ্বাস্য টেস্ট ক্যারিয়ারের জন্য তোমায় অভিনন্দন। তুমি লাল বলের সেরা এবং সবচেয়ে ভয়ংকর বোলারদের একজন, একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি। তোমার পথচলা এবং সংকল্প দুর্দান্ত অনুপ্রেরণার। ব্রডি, তোমার পরবর্তী পর্বের জন্য শুভকামনা’
বিদায়বেলায় ব্রড নিজেও অবশ্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যুবরাজের প্রতি। তার ভাষ্য, সেদিনের ৬ বলে ৬ ছক্কা হজমের পরেই নিজেকে বদলে নিতে শুরু করেছেন তিনি, ‘খুবই কঠিন দিন ছিল। আমার বয়স তখন কত, ২১, ২২? প্রচুর শিখেছি। আমি সেই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জেনেছি সেই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি ভালো পারফরমার ছিলাম না। তখন দ্রুত বলের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতাম, দৌড়ানোর আগে খুব একটা প্রস্তুতি নিতাম না। আমার কোনো ফোকাস ছিল না।’
ব্রড অবশ্য স্বান্তনা খুঁজেছেন অন্যভাবে, ‘ সেই অভিজ্ঞতার পরই আমি আমার ‘যোদ্ধা ভাব’ তৈরি করতে শুরু করি। এটা সত্য, আমি চাইনি এমন কিছু হোক। তবে, সেদিন ডেড রবার ম্যাচ হওয়ায় এই অনুভূতিটা হয়নি, আমি আমার দলকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে ফেলেছি বা এ রকম কিছু। তবে আমি মনে করি, এটি আমাকে এখনকার এই প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তুলেছে এবং আমাকে অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে গেছে।’
ব্রড যে সেদিনের পর থেকে এগিয়েছেন তার বড় প্রমাণ পরিসংখ্যান। নিজেকে ইংলিশ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে নিয়েছেন। টেস্টে শিকার করেছেন ৬০০ এর বেশি উইকেট। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে উইকেট ৮৪৩ টি। ইংলিশ ক্রিকেটের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং অ্যাশেজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনিই। সবমিলিয়ে পেস বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর নামটাও স্টুয়ার্ট ব্রড।