স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথমবারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীতে ফিরে সন্ধ্যার পর বিসিবি একাডেমির সামনে উৎসবমুখর পরিবেশে কথা বলেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট আশিকুর রহমান শিবলি।
অধিনায়ক রাব্বি এ সাফল্যর জন্য প্রথমেই সৃষ্টি কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাব্বি বলেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ। প্রথমবার আমরা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হলাম। আমাদের জন্য বড় একটা প্রাপ্তি। সামনে যে বিশ্বকাপ আছে এটার জন্য আমাদের খুব বড় একটা দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এশিয়া কাপ থেকে আমরা খুব ভালো প্রিপারেশন নিয়েছি বিশ্বকাপের জন্য।’
পুরো টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ টানা জয়ের পেছনের গল্প শোনাতে গিয়ে অধিনায়ক রাব্বি গেম ডেভোলপমেন্ট ও কোচিং স্টাফদের কৃতিত্ব দিতে চান। তিনি বলেন, ‘আসলে প্রত্যেকটা ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। আমরা ট্রাই করি ভালো খেলার জন্য। আর আমাদের গেম ডেভেলপমেন্ট খুব ভালো ফ্যাসিলিটিজ দিচ্ছে। আমাদের জন্য ফরেনার কোচ নিয়োগ করেছে। যেমন আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এর কোচ স্টুয়ার্ট ল স্যার আছেন, ব্যাটিং কোচ ওয়াসিম জাফর স্যার আছেন। তাদের থেকে আমরা খুব ভালো টিপস পাচ্ছি। কঠিন সময়গুলোতে কিভাবে আমরা ক্যামব্যাক করব, স্ট্রং থাকব মেন্টালি- এই সাপোর্টগুলো তারা আমাদের দিয়ে থাকে।’
এশিয়া কাপের আগে অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে বলতে গিয়ে রাব্বি জানান, ‘ফার্স্ট অব অল আমি প্রত্যেকটা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার চেষ্টা করেছি। সর্বপ্রথম থ্যাংকস দিতে চাই আমার টিমের ম্যানেজমেন্ট এবং আমার টিম প্লেয়ারগুলো খুব ভালো খেলেছে। তারা সাপোর্ট না দিলে হয়তোবা এই সাকসেসটা আসত না। প্ল্যানিং ছিল যে দেশের জন্য কিছু করব। এটা আরও ছয় মাস আগে প্ল্যান করা আছে, আমার অ্যাজ এ প্লেয়ার হিসেবে। আমি একজন নরমাল প্লেয়ার। বাট আমার ছয় মাস আগে থেকে প্ল্যান ছিল, যেহেতু ইনশাল্লাহ এশিয়া কাপ কখনও বাংলাদেশে আসেনি। চেষ্টা করেছি যে ছয় মাস আগে থেকে এশিয়া কাপটা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে বড় একটা প্রাপ্তি হবে মনে করছিলাম।’
বিশ্ব ফুটবলের রাজা লিওনেল মেসির মত উৎসব করা প্রসঙ্গে অধিনায়ক রাব্বির ব্যাখ্যা, ‘না কাউকে ফলো করে নয়। আমি নিজেও আসলে ব্রাজিল সাপোর্ট করি। আসলে মেসির সেলিব্রেশন করার কারণ হচ্ছে- এই সেলিব্রেশনটা আসলে আমার দল খুব বেশি এনজয় করে। এ জন্য এই সেলিব্রেশনটা করা। আর্জেন্টিনা সাপোর্টার না, দলের সবাই আসলে চাঙ্গা থাকে।’