এক মাস আগে ব্রাসেলসের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি চার্চে অভিবাসীরা এই অনশন শুরু করেন৷ একজন দুইজন নন ৪০০ জন ২৩ মে থেকে খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেন, একে একে অসুস্থ হতে শুরু করেন৷ এই প্রতিবাদের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে গত সপ্তাহে৷ খাবার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে চারজন এমনকি তাদের মুখ সেলাই করে ফেলেন৷
এই অভিবাসীদের দাবি তাদেরকে বেলজিয়ামে বৈধভাবে বসবাসের কাগজ দিতে হবে, সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাগুলোও৷ অনেকেই দাবি করেছেন, দেশটিতে তারা এক যুগের বেশি সময় থাকছেন ও কাজ করে যাচ্ছেন তারপরও বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন না৷
কিরণ অধিকারী নামে নেপালের এক অভিবাসী জানান করোনার কারণে তিনি তার রেস্টুরেন্টের চাকরি হারিয়েছেন৷ ‘‘আমি তাদের কাছে আবেদন জানাই আমাদেরকে অন্যদের মতো কাজের সুযোগ দিন৷ আমি ট্যাক্স দিতে চাই৷ আমি আমার সন্তানদের এখানে এই আধুনিক শহরে বড় করতে চাই,’’ বলেন তিনি৷
তবে তাদের এই দাবিতে সরকারের সাড়া দেয়ার কোন ইঙ্গিত নেই৷ দেশটির শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী সামি মাহদি জানিয়েছেন অনিয়মিত বা কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীকে বৈধ প্রক্রিয়ায় আনতে সরকার রাজি নয়৷ তবে অনশনরত অভিবাসীদের দুর্দশা নিয়ে তাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ কথা বলবে বলে জানান তিনি৷ ‘‘বলা হচ্ছে যে দেড় লাখ মানুষ এখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, আর যে ২০০ জন খাবার গ্রহণ বন্ধ করে আন্দোলন করছেন তাদেরকে কি আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত? এর ফলাফল কী হবে? এক সপ্তাহ পরে আরো ২০০, ২০০০, ২০,০০০ জন একই কাজ করবে,’’ বলেন সামি৷
তার মতে কোন আইন, নিয়মের বাইরে গিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে না৷ এরিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়া আন্দোলনকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘আমি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি, এর পেছনে থাকা সংগঠনগুলোকে নিশ্চিত করতে বলেছি যাতে কেউ তাদের মিথ্যা আশ্বাস না দেয়৷’’
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস