স্পোর্টস ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, ভারতের হায়দরাবাদে হতে যাওয়া পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সে কারণে বিশ্বকাপের আগে দুই দলের নির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। আইসিসির মেগা আসরটি শুরুর আগমুহূর্তে সেই আবেদনে রাজি হয়নি বিসিসিআই ও আইসিসি। ফলে ওই ভেন্যুতেই হতে যাচ্ছে প্রস্তুতি ম্যাচটি। তবে ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যার কারণে ম্যাচটি হবে দর্শকশূন্য।
একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। হায়দরাবাদে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। তার আগেরদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘গণেশ বিসর্জন’ এবং মুসলিমদের ‘ঈদে মিলাদুন-নবী’ অনুষ্ঠান রয়েছে। সে কারণে ম্যাচটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল হায়দরাবাদ পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় বিসিসিআই কর্তারা ভেন্যু পাল্টানোর পথে হাঁটতে রাজি নয়। অবশ্য তারা সমস্যার কথা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকেও (আইসিসি)। আইসিসি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের প্রস্ততি ম্যাচ খেলা হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। যারা টিকিট কেটেছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই ম্যাচের সব টিকিট বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগেও বিশ্বকাপের সূচি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ। আগামী ৯ এবং ১০ অক্টোবর পরপর দু’দিন ম্যাচ দেওয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলে তারা জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন নিয়ে কিছু জানায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ওই ভেন্যুতে ৯ অক্টোবর ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডস-নিউজিল্যান্ডের। এরপর ১০ অক্টোবর মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর জন্য স্টেডিয়াম এবং তার আশপাশের এলাকা মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী থাকবেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। এছাড়া ক্রিকেটারদের হোটেলে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষ করে যে হোটেলে বাবর আজমরা থাকবেন, সেই হোটেলকে কার্যত ‘দুর্গে’ পরিণত করা হবে।
এর আগে একবারও বিশ্বকাপের সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। সেখানে বদলে দেওয়া হয় ৯টি ম্যাচের সূচি। এরপরই নতুন করে যে সূচি পরিবর্তন সম্ভব নয়, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল বিসিসিআই এবং আইসিসি। কিন্তু হায়দরাবাদ পুলিশ ২৯ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে দেওয়ায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।