ইউরোপীয় কমিশনের সহ-সভাপতি মার্গারিটিস শিনাসকে লেখা চিঠিতে সিডিইউ’র অভ্যন্তরীণ বিষয়ের মুখপাত্র মাঠিয়াস মিডেলবের্গ ও সিডিইউ’র হয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য লেনা ডুয়েপো জানান, ইইউ’র সদস্য দেশগুলির নানামুখী আইনের কারণে তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়ার ভেঙে পড়ছে। তাদের মতে, ইইউ’র দেশগুলোতে এক এক রকমের আইন হওয়ার ফলে এই প্রক্রিয়া সফল হচ্ছে না।
রোববার প্রকাশিত সেই চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে তোলা হয় ইটালি ও স্পেনে বাড়তে থাকা অভিবাসীদের আগমনের প্রসঙ্গ। বলা হয়, “একই সময়ে, ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল বেড়েছে উল্লেখজনকভাবে। আমাদের মত, যেভাবে গ্রিসের লেসবসে অভ্যর্থনা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, সেই ধাঁচে ইটালি ও স্পেনেও অভ্যর্থনা কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারলে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপগামী অভিবাসনকে কিছুটা নিয়ন্ত্র করা যাবে।”
লেসবসে যে অভ্যর্থনা কেন্দ্রটির কথা চিঠিতে বলা হয়েছে, সেটি আগামী শীত থেকেই চালু হবার কথা।
বাস্তবায়নে যা প্রয়োজন
জার্মানির সংবাদসংস্থা ডিপিএকে মিডেলবের্গ বলেন, “ইটালি ও স্পেন দিয়ে যে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপে প্রবেশ করেন, তাদের বেশিরভাগেরই নিজের দেশে কোনো জীবনের ঝুঁকি নেই।
তিনি বলেন যে, এই পরিস্থিতি সামলাতে একদিকে প্রয়োজন হবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিজের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ। অন্যদিকে, রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়াকে আরো দ্রুত করতে হবে ও প্রয়োজনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দ্রুততার সাথে নিজদেশে ফেরত পাঠাতে হবে, বলেন তিনি।
ডুয়েপো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়ায় বদল আনার প্রসঙ্গ। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে আরো গতি ও সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন, বলেন তিনি।
এর আগে, যতবারই অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, প্রতিবারই তা উড়িয়ে দিয়েছে ইটালি ও স্পেন।
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস