1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ভোলার লালমোহন হাসপাতালের স্যাকমো আবুল হোসেন বদলি হয়েও ফিরে আসে কেন?

  • Update Time : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৩৮ Time View

ভোলা সংবাদদাতা : ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো আবুল হোসেন বদলি হয়েও পূর্বের কর্মস্থলে ফিরে আসে কেন, এ নিয়ে স্থানীয় মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একের পর এক অপকর্ম করেও টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যাচ্ছে আবুল হোসেন।সম্প্রতি, তার অপচিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে এক দিনমজুর। শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার টাকা দিয়ে রোগীর হাত-পা ধরে আপাতত রক্ষা পেলেও রোগী এখনো সুস্থ হয়নি। আবুল হোসেনের এমন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে তার স্ত্রীকে দিয়ে। নিজেকে রক্ষা করতে একের পর এক দৌড় ঝাপ শুরু করেছে আবুল হোসেন।

জানা গেছে, গত শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকা থেকে মোঃ ইউনুছের ছেলে বজলুর রহমান নামের এক রোগী আসে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পায়ের ফোঁড়া অপারেশন করাতে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার উপস্থিত না থাকায় সেখানে থাকা স্যাকমো আবুল হোসেন রোগীর পা অপারেশনের জন্য ৯ শত টাকা দাবী করেন। অপারেশন করার পর রোগীর পরিবার অত্যন্ত গরীব হওয়ায় তারা দেড়শত টাকা দিতে চাইলে আবুল হোসেন ওই টাকা মাটিতে ফেলে দেন। এনিয়ে আবুল হোসেন ও ওই রোগীর পরিবারের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে অনেক বুঝিয়ে রোগীর পরিবার আবুল হোসেনকে দেড়শত টাকা দিয়ে বিদায় নেন হাসপাতাল থেকে।

দুদিন পর ৫ অক্টাবর রোগী বজলুর রহমানপা ড্রেসিং করাতে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গেলে সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিলা রোগীর পা দেখে স্বজনদের জানান অপারেশনের সময় রোগীর পায়ের রগ কেটে গেছে। যার জন্য রোগীকে দ্রুত ভোলা অথবা বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দেন। আবুল হোসেনের এমন অপচিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে ভুক্তভোগী রোগী বজলুর রহমান। এরপর তারা বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানাতে গিয়ে তাকে অফিসে না পেয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহিসন খানকে বিষয়টি জানান। পরে আরএমও মহসিন খান রোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন।

ওই রোগীকে পরে বরিশাল নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়।বজলুর রহমানের মামাতো ভাই মোঃ জাকির জানান, বজলু দিন মজুরী করে কোন রকম সংসার চালায়। তার চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়ে গেছে। অথচ আবুল হোসেন মাত্র ৬৮০০ টাকা দিয়ে দিয়েছে। বজলুর চিতিৎসা করাতে তার বাবা হিমশিম খাচ্ছে। তিনি এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, আবুল হোসেন একজন স্যাকমো হয়েও ইমার্জেন্সিতে থাকাকালীন রোগীদের সাথে অসদাচারণ করে আসছেন। রোগীকে টেস্ট করাতে দেয়ার নিয়ম না থাকলেও সে বিভিন্ন সময় টেস্ট দিয়ে থাকেন। আবুল হোসেনের নানা অনিয়মের অভিযোগে তাকে কয়েক মাস আগে বদলি করা হলেও মধুর টানে ফের নানানভাবে লবিং করে লালমোহন হাসপাতালে এসে যোগ দেন। প্রতিনিয়ত আবুল হোসেনের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ বিরাজ করছে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে স্টাফদের মধ্যেও।
আবুলের অপচিকিৎসায় পা বজলুর রহমানের পা হারানোর সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আবুল নিজের স্ত্রীকে দিয়ে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন লালমোহন থানায়।সেইসাথে দোর্দন্ড প্রতাপের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের জীবন নিয়ে খেলা!

রিপোর্ট : গাজী মো. তাহেরুল আলম,ভোলা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..