করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারি মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা লুটপাটের আয়োজন করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে ধবংস করা হয়েছে, অর্থনীতি লুটপাট করা হয়েছে, একটা লুটপাটের অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই চরম দুর্দিনে করোনাভাইরাস যখন আমাদের গোটা বিশ্বের ব্যবস্থাকে পাল্টে দিচ্ছে, তখন আমরা অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে দেখছি, যারা সরকারি মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী তারা আজ ভ্যাকসিন নিয়েও একটা লুটপাটের আয়োজন করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই বাংলাদেশের লুটপাটের যে অর্থনীতি এটাকে পরিবর্তন করতে চাই, আমরা বাংলাদেশের একদলীয় শাসনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে এখানে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা এখানে সত্যিকার অর্থেই সাধারণ মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে চাই, আমরা এখানে সত্যিকার অর্থেই মানুষের বাক স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেখতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল, এখানে সত্যিকার অর্থেই একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করা হবে, সেই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে চাই। আমরা দেখতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ তারা ঐক্যবদ্ধ হবেন এবং সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করতে বাধ্য করবে।
তিনি বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) বক্তব্যে তুলে ধরে বলতে চাই, ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে যে অভ্যুত্থান-এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার ছিল না। এটা ছিল বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থেই দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার জন্যেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের একটি অংশ।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের ক্ষমতা দখলের দিনটিকে ‘কালো দিবস’ দিবস হিসেবে পালনে বিএনপির উদ্যোগে ‘এক এগারো : বিরাজনীতিকরণের ধারাবাহিকতায় চলমান ফ্যাসিবাদ: গণতন্ত্রই মুক্তির পথ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।