নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ লাখো মানুষের জিবিকা নির্বাহের খাত গণপরিবহন অজানা হতাশায় ধুকে মরছে এ পেশায় থাকা হাজারো শ্রমিক পরিবার। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুস্থ, অসহায় এসব নিম্ন আয়ের পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়বার যেন কেউ নেই। নেই তাদের কোন বেতনভাতা, নেই কোন অন্য আয়ের সুযোগ। তাদের এহেন করুন পরিনতির দায় যেন একান্তই তাদের নিজেদের। পরিবহন চালু করার সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকা শ্রমজীবী এসব কর্মহীন হয়েপড়া পরিবহন শ্রমিকদের পাশে নেই কোন সহযোগিতার হাত। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে মনজিল পরিবহন মালিক কতৃপক্ষ সবাইকে অবাক করে শ্রমিকদের পাশে দাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২২ মে) চিটাগাং রোডের কাঁচপুর ব্রীজ সংলগ্ন মনজিল পরিবহনের সকল শ্রমিকদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন মনজিল পরিবহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোলেমান প্রধান। এ সময় মনজিল পরিবহনের শ্রমিকদের চোখেমুখে বিরাজমান হয় এক আনন্দের অনুভূতি। উপহার সামগ্রী পেয়ে শ্রমিকরা হয়ে উঠে আনন্দে আত্মহারা।
সোলেমান প্রধান বলেন, এখন এমন একটা সময় যখন মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের ক্রান্তিলগ্ন চলছে। আমাদেরকে উদারচিন্তার মনোভাব পোষণ করতে হবে। আমাদের জন্য কেউ কিছু করবে, কে করবে, কবে করবে তা চিন্তা ভাবনা করার সময় নয়।
তিনি বলেন, পরিবহনের যাঁরা শ্রমিক ভাইয়েরা তারা আমাদের চালিকাশক্তি। বিপদকালীন সময়ে আমরা মালিক শ্রমিক একত্ববাদ পোষন করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে মহাখালী হয়ে আবদুল্লাপুর পর্যন্ত চলমান মনজিল পরিবহনের ডিরেক্টর ফিনান্স রাসেল মাহমুদ, ডিরেক্টর সুমন মিয়া, ডিরেক্টর শাহিন পারভেজ, ডিরেক্টর নয়ন মিয়াসহ আরও অনেকে।
শ্রমিকদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেয়া হয় জনপ্রতি, ২৫ কেজি চাউল, ৪ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার তৈল, ২ কেজি চিনি, ২ প্যাকেট সেমাই, ২ কেজি পোলাও চাল, ১ কেজি লবন, ২ প্যাকেট নূডলস ও ২৫০ গ্রাম শুকনা মরিচ।