জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চীন বিপ্লবের মহানায়ক মাও সেতুং ছিলেন শোষিত নিপীড়িত মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, তাঁর চিন্তাধারা হিসাবে সারা বিশ্বে মেহনতি মানুষকে স্বাধীনতা ও শোষণ মুক্তির আলোক বাতিকা হিসাবে বিপ্লবী পথচলার দিশা দিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে জেএম মিলনায়তনে চীন বিপ্লবের মহান নেতা কমরেড মাও সে তুং-এর ৪৫তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণতান্ত্রিক বা নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘঠন এই হলো মাও সেতুংয়ের চিন্তাধারার মৌলিক দিক। চীনের বিপ্লব কালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত মাও সেতুংয়ের চিন্তাধারা চীনে এবং সারা বিশ্বে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। যখন মেহনতি মানুষ, গণমানুষের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতি স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলে তখনই প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি মাথা তুলে দাঁড়ায়। আর এই অপশক্তি, অপসংস্কৃতিকে পরাজিত করতেই মাও সেতুংএর প্রদর্শিত পথে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মাও সে তুংয়ের রাজনৈতিক-সামাজিক বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের রাষ্ট্র নির্মান করতে হবে। মাও সে তুং এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক। তিনি চীনের কৃষিজীবী মানুষকে প্রাধান্য দিয়েই তিনি পার্টির শাসন ব্যবস্থার নীতিনির্ধারণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, মাও সে তুং ও মওলানা ভাসানী দু’জনেই মহান নেতা ছিলেন। দুজনের মধ্যে অনেক মিল ছিল। আধুনিক চীনের জন্মদাতা মাওকে তারা আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। কিন্তু আমাদের দেশে মওলানা ভাসানীর মত মহান নেতাকে সেভাবে স্মরণ করা হয় না। মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল প্রতীক থাকলেও তিনি ক্ষমতা না নেয়ায় এখন বিস্মৃত হয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.জসিম তালুকদার, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া প্রমুখ।