ওয়েব ডেস্ক: মানুষ এ সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, সরকার ভাবছে তারা পাঁচ বছর ক্ষমতায় টিকে গেলো। ২০২৮/২৯ সাল আসলে আবার নির্বাচনের কথা বলবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাঁচ বছর টিকতে দেবে না।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তারা এসব কথা বলেন।
এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হয়নি। সেদিন যা হয়েছে সেটা হচ্ছে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া। মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। তার জন্য বাছাই করার সুযোগ রাখতে হয়। বাছাই করার সুযোগ থাকলেই কেবল মানুষের ভোট কার্যকর হয়। এক দল নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করে সেটাকে ভোট দেওয়া বলে না।’
তিনি বলেন, ‘এ দল রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এ কলঙ্কের পরে তাদের কোনো হুঁশ নেই। ক্ষমতা থেকে নামলে দল হিসেবে তাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সেটাই এখন মানুষের প্রশ্ন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার দ্রুত বিচার আইনকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা করছে। তার অর্থ হচ্ছে দ্রুত বিচার আইনের মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্র মঞ্চ, সরকারের রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলোকে বিচারের নাম করে দ্রুত জেলখানায় পাঠানোর জন্য এ আইনকে স্থায়ী করা হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এ সরকার বড়াই যতই করুক না কেন পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, ডলার সংকট, টাকা নেই, এ শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। যখন গরম শুরু হবে তখন আপনি (সরকার) বিদ্যুৎ আনবেন কোথায় থেকে? বিদ্যুতের টাকা দেবেন কোথায় থেকে?’
ভাষানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।