প্রত্যয় ডেস্ক: বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও এয়ারবাসকে ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরে পনির এবং ওয়াইনের মতো ইউরোপীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন পাল্টা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় কমিশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালডিস ডম্ব্রভস্কিস সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভালডিস ডম্ব্রভস্কিস জানিয়েছেন, ইউরোপে রফতানি করা বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক ও অন্যান্য জরিমানা আরোপ করতে যাচ্ছে ইইউ, অর্থের হিসেবে যা চার বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র বোয়িংকে অবৈধভাবে ভর্তুকি প্রদান করার প্রতিবাদে এসব শুল্ক আরোপ করছে ইইউ। অক্টোবরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এক রায়ে এ ধরনের শুল্ক আরোপের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে। এরপর ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে একমত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য গতবছরই ইউরোপের বিভিন্ন পণ্যের ওপর এ ধরনের শুল্ক আরোপ করেছিল। ওয়াইন, পনির, সিঙ্গেলমল্ট হুইস্কির উপর আরোপ করা সেই শুল্কের পরিমাণ আর্থিক হিসেবে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং এবং ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসকে ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে গত ১৬ বছর ধরেই ইউরোপের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিরোধ চলছে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেন জেতার পরপরই ইইউ-র এই ঘোষণায় কিছুটা অবাক হয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই ঘোষণা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার পর দেয়া যেত। কেননা বাইডেন হয়তো বিষয়টি অন্য কোনওভাবে সুরাহার চেষ্টা করতেন।
জার্মানিতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স লবি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক স্পোর্টোলারি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্ত অবিশ্বাস্যভাবে স্বল্পদৃষ্টির পরিচয় দিচ্ছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বাইডেন। আমরা কেন অপেক্ষা করতে পারছি না? একসঙ্গে সামনে অগ্রসর হওয়ার পথ খুঁজছি না? আমাদের এই ‘টিট ফর ট্যাট’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
স্পোর্টোলারি আশা করছেন, বাইডেন ভূ-রাজনীতিকে বাণিজ্যের সঙ্গে মেলাবেন না যা ট্রাম্প করেছেন। জার্মানির অর্থমন্ত্রী পিটার আল্টমায়ারও একই রকম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।