ওয়েব ডেস্ক: স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই। শত শত মানুষ পানিতে এখনো আটকা। দ্বিতল বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
এছাড়া উপজেলার প্রায় ৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে বন্যাকবলিত লোকজন। তবে বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের সংকট।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আশপাশের এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বার বার খাবার সরবরাহ হলেও ভেতরের আশ্রয়কেন্দ্র ও অনেক বাড়িতে খাবার যাচ্ছে না। ফলে এসব কেন্দ্রে খাবারের জন্য হাহাকার করছে মানুষ।
বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মোরশেদ বলেন, আমার বাড়িতে প্রায় ৩০০ মানুষের আশ্রয় দিয়েছি। দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও অনেকে ফোন দিচ্ছে আশ্রয়ের জন্য। কিন্তু জায়গা না থাকায় আর রাখা সম্ভব হচ্ছে না।সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন ধুম ইউনিয়নের উত্তর মোবারকঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৭০০ মানুষ। যেখানে খাবারের খুব প্রয়োজন। কিন্তু ভেতরে অবস্থান হওয়ায় কেউ খাদ্য নিয়ে যেতে পারছে না।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন বলেন, বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার পানির তীব্রতা বেড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা বিচ্ছিন্ন। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। এতে উদ্ধারের নিশ্চিত সংবাদ পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, সাইক্লোন শেল্টারসহ সরকারি ভবনগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সময় মতো খাদ্য পৌঁছানো যাচ্ছে না।