নিজস্ব প্রতিনিধি: ঐতিহাসিক নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিসরে পালিত হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস ।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) কায়রোস্থ বাংলাদেশ দুতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সহ দুতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিগন।
মোহাম্মদ ফেরদাউস এর উপস্থাপনায় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ইত্তেহাদ-এর নব নির্বাচিত সভাপতি মোঃ আলামিন পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাত পরিচালনার পর ঢাকা থেকে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন, অত্র দূতাবাসের দুতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন তৃতীয় সচিব মোঃ আতাউল হক।
শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র “ছোট্ট রাসেলের গল্প” প্রদর্শন করার পর শেখ রাসেল সম্পর্কে আরবীতে আলোচনার সূত্রপাত করেন ষষ্ঠ শ্রেণীর প্রবাসী ছোট্ট শিশু আদনান ও উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন সহ বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে মিসরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রবাসী শিশু কিশোরদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং দুই গ্রুপে অংশ গ্রহণ কারী শিশু কিশোরদের উভয় গ্রুপের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদেরকে পুরস্কার প্রদান করে
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূত এর সহধর্মিণী মিসেস ফাহিমা তাহসিনা।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে সমাপনী বক্তব্য রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন মায়ের অত্যন্ত আদরের সন্তান ও সবার স্নেহে ছিলেন ধন্য। তিনি ছিলেন শিশুদের বন্ধু ও গরিব দুঃখী মানুষের সাহায্যকারী। নিজে কম খেয়ে আর্ত মানবতার সেবাই ছিল তার শিশু মনের ব্রত ও উদ্দেশ্য। আজকের শিশুরা শেখ রাসেলের জীবনাদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে উন্নত বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে ও নেতৃত্ব দিতে পারবে এই আমাদের প্রত্যাশা।