ভারতের খ্যাতনামা আলেম ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ তাজকিরুল কুরআনের লেখক মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খান (৯৬) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খান ‘তাজকিরুল কুরআন’ নামে পবিত্র কুরআনুল কারিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচনা করেন। তিনি দিল্লির মাইনরিটি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খান ধর্মচিন্তা ও আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে তার অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ জ্ঞানের জন্য চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মোদি আরও বলেন, ‘মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খান চলে যাওয়ায় আমি শোকাহত। তিনি ধর্মচিন্তা ও আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে তার অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ পাণ্ডিত্যের জন্য চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এছাড়া তিনি কমিউনিটি সেবা এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও উৎসাহী ছিলেন। তার পরিবার এবং অগণিত শুভানুধায়ীর প্রতি আমি শোক জানাচ্ছি।’
গত ১২ এপ্রিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খানকে রাজধানী নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খান দুই ছেলে দুই মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বড় ছেলে জাফারুল ইসলাম খান দিল্লিভিত্তিক মিল্লি গেজেট পত্রিকার সম্পাদক। আর ছোট ছেলে সানি ইয়াসনাইন খান ভারতের শিশু সাহিত্যিক ও টেলিভিশন উপস্থাপক।
মাওলানা ওয়াহিদ উদ্দিন খান ১৯২৫ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই বছর জানুয়ারিতে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘পদ্ম বিভূষণ’ পদক দেওয়া হয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনের এ খাদেমকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।